বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে পাঁচবার গণহত্যার মাধ্যমে তিন হাজারের বেশি নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে। প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসন করতে দেওয়া হবে না।
রবিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ শহরের মাসুমপুর মাঠে বাংলাদেশে খেলাফজ মজলিস আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মামুনুল হক বলেন, আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। শেখ হাসিনা ও তার খুনি মন্ত্রিসভার সদস্যসহ শেখ হাসিনার মনোরঞ্জনের জন্য বুলেটের আঘাতে নিরীহ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে যেসব প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, তাদের বিচার না পর্যন্ত বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে বন্ধ রাখতে হবে। আমাদের ধারণা, যে পরিমাণ হত্যাকাণ্ড, গুম, অপহরণ, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও অর্থপাচার করেছে... বিচার শেষ হওয়ার পর আওয়ামী লীগ বাটি চালান দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের জন্য প্রার্থী পাবে না।
তিনি বলেন, সংবিধান সংস্কার হচ্ছে। সংস্কারে সব দল সহযোগিতা করছে। কিন্তু সংবিধান সংস্কারের নামে মুসলমানদের একত্ববাদের পরিবর্তে বহুত্ববাদ অন্তর্ভুক্ত করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। পরিষ্কার বলছি, বহুত্ববাদকে বাতিল করে মহান আল্লাহর ওপর অবিচল আস্থা ও বিশ্বাসকে পুনর্বহাল করতে হবে।
মামুনুল হক আরও বলেন, আগামী ৩ মে হেফাজতে ইসলাম ঢাকায় সমাবেশের মাধ্যমে সরকারকে সতর্ক করবে, বিতর্কিত নারী কমিশনের প্রস্তাবনা বাতিল করতে হবে এবং নারী কমিশনের বিচার করতে হবে। না হলে রাজপথেই এর ফয়সালা করতে হবে।
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রশংসা করে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির বলেন, অর্থনীতিতে বাংলাদেশ কয়েক মাসে মজবুত হয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহী হচ্ছে। রমজানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল।
দ্রুত সময়ে যৌক্তিক সংস্কার শেষে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ খেলাফতে মজলিসের রিকশা প্রতীকে সিরাজগঞ্জ-১ আসনে মাওলানা আব্দুস সামাদ খান, সিরাজগঞ্জ-২ আসনে মুফতী আহমাদুল্লাহ সিরাজী, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে আব্দুর রউফ ও সিরাজগঞ্জ-৪ আসনের প্রার্থী হিসেবে মুফতী নজরুল ইসলামের নাম ঘোষণা করেন তিনি।
গণসমাবেশে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমদ ও যুগ্ম সচিব মুফতি শরাফত হোসাইনসহ জেলার নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
বিডি প্রতিদিন/কেএ