কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে কোটি টাকার ৪১টি মহিষ লুটের মামলায় বিএনপি নেতা সাইদুর চেয়ারম্যানসহ ১১ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। রবিবার কুষ্টিয়া আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন কুষ্টিয়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোস্তফা পারভেজ।
কারাগারে পাঠানো ১১ জন হলেন-কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান, পলাশ, জাকির, বকুল, অভিক, বক্কর, মোজাফফর, হানা, তক্কুল, তুহিন ও শাহিনুর। তারা সবাই বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের বৈরাগীরচর এলাকার বাসিন্দা।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ ফেব্রুয়ারি ভোরে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মরিচার বৈরাগীরচর গ্রামের মণ্ডলপাড়া এলাকায় পদ্মার চরের সাইদ মণ্ডলের মহিষের বাথানে রাখালদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৪১টি মহিষ লুটে নেওয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে মরিচা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে তার লোকজন মহিষগুলো লুটের ঘটনা ঘটায়। এ সময় তারা মহিষের রাখাল মাজদার আলী (৫০), কামাল হোসেন (৩৫) ও সৈকতকে (৩৫) বেধড়ক মারধর করে। অস্ত্রের মুখে তাদেরকে অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী রহিমপুর মাঠে নিয়ে আটকে রাখা হয়।
খবর পেয়ে বুধবার সকালে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাখালদের উদ্ধার করে। তবে লুট হওয়া মহিষ এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। মহিষগুলো লুট করার পরপরই ট্রাক ভর্তি করে অন্যত্র পাচার ও বিক্রি করে দেন আসামিরা। লুট হওয়া ৪১টি মহিষের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৯ লাখ টাকা।
এ ঘটনায় মহিষের বাথান মালিক সাইদের স্ত্রী তমা খাতুন গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দৌলতপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় মরিচা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ ৮-১০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
আদালত পুলিশের কর্মকর্তা ও দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা বলেন, ৪১টি মহিষ লুটের মামলায় ১২ আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। জামিন চাইলে ১১ আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। তবে এক আসামিকে জামিন দেন আদালত।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল