আজ মঙ্গলবার কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপিত হচ্ছে। ধর্ম-বর্ণ-জাতি নির্বিশেষে সকলেই মেতে উঠেছে ঐতিহ্যময় বর্ষবরণ উৎসবে। পুরাতন হিসাব চুকিয়ে খোলা হল নতুন বছরের মহরৎ করণ। নতুন কাপড়, হালখাতা, মিষ্টির প্যাকেট সবমিলিয়ে বেজে উঠল বাংলা নতুন বছরের জয়গান।
এদিন ভোর হতেই কালীঘাট কালী মন্দির, দক্ষিণেশ্বর ভবতারিণী মন্দির, লেক কালীবাড়ি, আদ্যাপীঠ কালী মন্দির, তারাপীঠসহ বিভিন্ন মন্দিরে পূজা দেওয়ার জন্য লম্বা লাইন পড়ে।
নতুন বছরের শুভ কামনা করে অনেকেই পূজা দেন। অনেক বাড়িতেও এদিন লক্ষী-গণেশের পূজো হয়। সেই সাথে বিশেষ খাওয়া-দাওয়াও আয়োজন করা হচ্ছে। এমনকি পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে অনেক নামি রেস্তোরাগুলিতেও বিশেষ বাঙালি ভোজের ব্যবস্থা থাকছে। খাবারের তালিকাতেও থাকছে নস্টালজিয়ার ছোঁয়া।
বাংলা বর্ষবরণ উপলক্ষ্যে কলকাতার ভাষা ও চেতনা সমিতির আয়োজনে এদিন সকাল ৮ টায় পার্কস্ট্রিটে অবস্থিত ভারতীয় জাদুঘরের পাশে সরকারি কারু ও চারুকলা মহাবিদ্যালয়ের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য বৈশাখী শোভাযাত্রা বের হয়। পরে তা এসে পৌঁছায় রবীন্দ্রসদন চত্বরের উত্তরদিকে আকাদেমি অফ ফাইন আর্টসের সামনে রাণুচ্ছায়া মঞ্চে। এরপর রাণুচ্ছায়া মঞ্চে সারাদিন চলবে গান, কবিতা, নাচ, নাটক, জাদু। এই বিশেষ দিনে ঊর্মিলা সাহা ও প্রমীলা সাহা স্মরণে দুই শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত শিশু কিশোর কিশোরীর হাতে তুলে দেওয়া হবে বই, খাতা ও খাবার। এর সঙ্গে উৎসবে পাওয়া যাবে পান্তাভাত, শুঁটকি, সস্তায় আমপোড়া শরবত, মাছভাত, আলুপোস্ত। ভাষা ও চেতনা সমিতির সম্পাদক ইমানুল হক জানিয়েছেন, উৎসবে প্রবেশ অবাধ। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের শিল্পীরা অংশ নেন এই নববর্ষ উৎসব উদযাপনে।
পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
এক্স হ্যান্ডেলে মোদি লেখেন 'পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা। আশা করি, এবছর আপনাদের সব আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হবে। আমি সকলের সাফল্য, সুখ, সমৃদ্ধি এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রার্থনা করছি।'
এক্স হ্যান্ডেলে মমতা ব্যানার্জি লেখেন 'এসো, এসো, এসো হে বৈশাখ…' শুভ নববর্ষ ১৪৩২! নতুন বছরের পূণ্য আলোর দ্যুতিতে আলোকিত হোক সকলের জীবন। শান্তি ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ থাকুক বাংলার প্রতিটি মানুষ। সবাইকে শুভনন্দন।'
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন