সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা ১১৩টি সরকারি মৎস্য খামারকে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর করার মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য মৎস্য অধিদপ্তর তিনশ’ ৭১ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। চার বছরের এ প্রকল্পটি ২০২৮ সালের জুনে শেষ হওয়ার পর প্রকল্প এলাকায় মাছের উৎপাদন ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।
আজ বুধবার দুপুরে যশোরে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব তথ্য জানান মৎস্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. জিয়া হায়দার চৌধুরী।
শহরের একটি রেস্টুরেন্টে সকালে শুরু হওয়া এ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন যশোর জেলা মৎস্য অফিসার সরকার রফিকুল আলম।
‘সরকারী মৎস্য খামারগুলোর সক্ষমতা ও মৎস্য উৎপাদন বাড়াতে অবকাঠামো উন্নয়ন’- শীর্ষক প্রকল্পের ওপর আলোচনা করেন প্রকল্প পরিচালক মো. মশিউর রহমান। অন্যদের মধ্যে বিশেষ অতিথি হিসেবে মৎস্য অধিদপ্তরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মাহবুবুর রহমান ও মৎস্য অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মৎস্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. জিয়া হায়দার চৌধুরী বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় প্রদর্শনী খামারগুলোতে মাছের উৎপাদনশীলতা প্রতি হেক্টরে সাড়ে সাত মেট্রিক টন থেকে ৪৭ মেট্রিক টনে বৃদ্ধি করা হবে।
তিনি বলেন, আপাতত প্রজেক্টের লক্ষ্য সরকারি খামারগুলো। এখানে ব্যবহৃত সর্বাধুনিক প্রযুক্তি টেকসই প্রমাণিত হলে পরে তা বেসরকারি পর্যায়ে দেওয়া হবে।
দিনব্যাপি এ কর্মশালায় মৎস্যজীবী, মৎস্য খামারের মালিক, বাওড় ব্যবস্থাপক, হ্যাচারি মালিক, জেলা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, মাছের খাদ্য উৎপাদক ও বিক্রেতারা অংশ নেন।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ