প্রকৃতির পাশে থেকে থার্টি ফাস্ট নাইট পালন করতে সুন্দরবনে পর্যটন স্পর্টগুলোতে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। শনিবার আগত এসব দেশি-বিদেশি (ইকো ট্যুরিস্ট) পর্যটকরা বিলাশবহুল ক্রজার ও লঞ্চযোগে সুন্দরবনের নানা জায়গায় ছুটে বেরিয়ে উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
দেড় হাজার প্রতিবেশ পর্যটক ৬০টি বিলাশবহুল ক্রজার ও লঞ্চে সুন্দরবনে থেকে শনিবার দিবাগত রাতে থার্টি ফাস্ট নাইট পালন করবেন। এদিকে পর্যটকদের ভিড় সামলাতে বনরক্ষীদের রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে, সুন্দরবন বিভাগ থার্টি ফাস্ট নাইট পালনে আতশবাজি, ফানুস, বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। সুন্দরবনের পর্যটন স্পটের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকা থেকে সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্র দেখতে আসা ইসমাইল হোসোন তমাল জানান, মাত্র তিন ঘণ্টায় আসা যায় বলে প্রকৃতির পাশে থেকে থার্টি ফাস্ট নাইট পালন করতে ছুটে এসেছি। আমাদের মত অনেকেই এসেছেন এখানে’। একই কথা বলেছেন রংপুর থেকে এনজিও কর্মকর্তা সাকিব রায়হান।
সুন্দরবনের ট্যুর অপারেটর সোহাগ মোল্লা জানান, শনিবার বিকাল পর্যন্ত ৬০টি বিলাশবহুল ক্রজার ও লঞ্চে করে প্রকৃতির পাশে থেকে থার্টি ফাস্ট নাইট পালন করতে দেশী-বিদেশী প্রতিবেশ পর্যটকরা সুন্দরবনে পর্যটন স্পর্টগুলোতে গেছেন।
করমজল ও বন্যপ্রাণী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির জানান, প্রতিবছরই দেশী-বিদেশী পর্যটক ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড সুন্দরবনে প্রকৃতির পাশে থেকে থার্টি ফাস্ট নাইট পালন করে থাকেন। এবারও সুন্দরবনে পর্যটন স্পর্ট হিরন পয়েন্ট, হারবাড়িয়া, কটকা, কচিখালী, দুবলা, কলাগাছি ও দোবেকিতে ৬০টি বিলাশবহুল ক্রজার ও লঞ্চে করে প্রায় দেড় হাজার দেশী-বিদেশী প্রতিবেশ পর্যটক থার্টি ফাস্ট নাইট পালন করতে ম্যানগ্রেভ এই বনে রয়েছেন। সুন্দরবন বিভাগ থার্টি ফাস্ট নাইট পালনে আতশবাজি, ফানুস, বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। এসব দেখভাল করাসহ পর্যটকদের নিরাত্তায় বনরক্ষীরা তৎপর রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল
