জয়পুরহাটের আক্কেলপুর ট্র্যাজেডির ১৯ বছর পূর্ণ হয়েছে গতকাল। ২০০৬ সালের এ দিন সকালে আক্কেলপুর মহিলা কলেজ-সংলগ্ন রেলগেট অতিক্রম করার সময় যাত্রীবাহী একটি বাসকে সজোরে ধাক্কা দেয় ট্রেন। বাসটি চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে ছিটকে পড়ে যাত্রীদের ক্ষতবিক্ষত দেহ। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ২৫ জন বাসযাত্রী। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় আরও ১০ জনের। আহত হন অনেকে। নিহতদের স্মরণে দুর্ঘটনাস্থলে স্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের দাবিতে গতকাল মানববন্ধন করেছেন আক্কেলপুর উপজেলাবাসী। সেই দিনের স্মৃতিচারণ করেন অল্পের জন্য বেঁচে যাওয়া সোহান। তিনি বলেন, ভয়ংকর ওই দৃশ্য আজও তাকে তাড়িয়ে বেড়ায়। ভেজা চোখে বলেন, সেদিন বেঁচে যাওয়া অনেকে আজও ভুলতে পারেননি বিভীষিকাময় সেই স্মৃতি। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা রাশেদ ফকির জানান, ট্রেনের ধাক্কায় মুহূর্তেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় বাসটি। মানুষের দেহ রেললাইনের দুই পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে ছিল। আমিসহ আরও কয়েকজন মিলে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়েছি। চোখের সামনে একসঙ্গে অনেক মানুষের ক্ষতবিক্ষত লাশ দেখেছি। মনটা আজও কেঁদে ওঠে। আক্কেলপুর রেল স্টেশন মাস্টার হাসিবুল আলম জানান, তখন ওই লেভেল ক্রসিংটি অরক্ষিত ছিল। কোনো গেটম্যানও ছিল না। দুর্ঘটনার পর সেখানে স্থায়ী গেট নির্মাণসহ সরকারিভাবে গেটম্যানও নিয়োগ করা হয়েছে।
আক্কেলপুরের ইউএনও মনজুরুল আলম জানান, ২০০৬ সালের ১১ জুলাইয়ের দুর্ঘটনা খুবই মর্মান্তিক। নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সেখানে স্মৃতিফলক নির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে।