রাজশাহী নজমুল হক বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে শিক্ষক শাহাবুব আলমের বিরুদ্ধে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ করে আন্দোলন করেছে শিক্ষার্থীরা। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্দোলনে যোগ দেন অভিভাবকরাও। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় অভিভাবকরা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন। এ সময় তারা প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদেরও পদত্যাগ দাবি করে স্কুল চত্বরে বিক্ষোভ করেন।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে, সহকারী শিক্ষক শাহাবুব আলম সুযোগ পেলেই শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত দেন। সর্বশেষ ২ সেপ্টেম্বর স্কুল ছুটির পর চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে একা পেয়ে তার মুখ চেপে ধরেন। ভয়ে ওই ছাত্রী এখন স্কুলে আসছে না। অভিভাবকরা অভিযোগ করেছেন, শিক্ষক শাহাবুব আলম বিভিন্ন অজুহাতে ছাত্রীদের সঙ্গে এমন আচরণ করছেন। তারা দাবি করেছেন, দ্রুত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
বিক্ষোভ চলাকালে অভিভাবকরা জানিয়েছেন, নিরাপত্তাহীনতার কারণে তাদের সন্তানরা মানসিকভাবে ভীত ও অসহায় বোধ করছে।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি স্কুল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির (অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার) কাছে জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিভাবকদের বিষয়টি বোঝানো হয়েছে এবং তারা বিষয়গুলো খতিয়ে দেখছেন।’