নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থাান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, কিছু কিছু ব্যক্তি কারখানা প্রতিষ্ঠা করেছেন শুধুই বিদেশে অর্থ পাচারের উদ্দেশ্যে। তবে ভালো মালিকও আছেন, যাদের কারণে দেশের রপ্তানি বেড়েছে। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহীর জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্যা নিরাপত্তা বিষয়ক গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং শ্রমিকদের মধ্যে চেক বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে এসব কথা বলেন তিনি। দেশের কিছু কারখানা বন্ধ থাকার প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘কারখানা বন্ধের জন্য আমি দায়ী নই। কিছু মালিক ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন, সেই টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। এখন টাকা ফেরত দিতে পারছেন না, দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। তারা কারখানা করেছেন আসলে টাকা-পয়সা এদিক-সেদিক করার জন্য।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশে তো অনেক কারখানা এখনো চলছে। না চললে ৭-৮ শতাংশ রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হতো কীভাবে? ভালো মালিক আছেন, যারা কখনো ডিফল্ট করেননি। শ্রমিকদের দেখভাল করছেন, নিয়মিত বেতন দিচ্ছেন। অনেক বড় বড় কারখানা এখনো কার্যকরভাবে চলছে।’
এর আগে উপদেষ্টা একই ভবনে এক গবেষণা কনফারেন্সের উদ্বোধন করেন। সেখানে চা বাগানের নারী শ্রমিকদের মানবিক পরিস্থিাতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘চা বাগানে শৌচাগার না থাকা খুবই অমানবিক। এর ফলে নারী শ্রমিকদের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। এমনকি সেখানে বিশুদ্ধ পানিও পাওয়া যায় না। এ অবস্থাা চলতে পারে না।’ অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থাান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক ওমর মো. ইমরুল মহসিন এবং রাজশাহী বিভাগের উপমহাপরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিাত ছিলেন।