পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, আমাদের গড় আয়ু ৬ বছর কমে গেছে, ভালো পরিবেশের অভাবও এর একটি বড় কারণ। গতকাল রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর আওতাধীন পূর্বাচল নতুন শহর এলাকায় বনায়ন কর্মসূচির উদ্বোধন কালে একথা বলেন তিনি। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজউকের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মোহাম্মদ এজাজ, প্রশাসক, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।
শহরের ১১ নম্বর সেক্টরের হারার বাড়ি চত্বরে বৃক্ষ রোপণ করেন মাননীয় উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম ও ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা বলেন, “ আমরা জিরো সয়েল ধারণা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। জিরো সয়েল যে ধারণা রয়েছে, তার সাথে সরকারি সংস্থাগুলোর পাশাপাশি ঢাকা শহরের বসবাসকারীদেরও সচেতন ভাবে অবদান রাখতে হবে। রাজউক কে ধন্যবাদ, যে রাজউক ভূমি বরাদ্দের পাশাপাশি সবুজায়নের গুরুত্ব বুঝে সে অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে। বসবাসের পাশাপাশি মানুষকে পরিবেশের কাছাকাছিও থাকতে হবে। আমাদের গড় আয়ু ৬ বছর কমে গেছে, ভালো পরিবেশের অভাবও এর একটি বড় কারণ।”
এসময় রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, “ দীর্ঘ সময় পর আমরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছি। আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে সবাই কে সাথে নিয়ে একটি পরিকল্পিত ও বাসযোগ্য ঢাকা শহর গড়ে তোলার। পূর্বাচলের মতো বড় পরিসরের বাসযোগ্য এলাকার পরিকল্পিত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সাথে আলোচনা চলমান রয়েছে। এর জন্য রাজউক এর পক্ষ থেকে সকল ধরনের সহযোগিতা করা হবে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মদ এজাজ বলেন, “ঢাকা কে জলবায়ু সহনশীল শহর করতে অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ঢাকাকে বাসযোগ্য ও পরিবেশগত ভাবে প্রস্তুত না করতে পারলে আমাদের অনেক সমস্যা ভোগ করতে হবে। শহরের তাপমাত্রা কমাতে হলে জলাশয় বাড়াতে হবে ও বৃক্ষ রোপণ করতে হবে। রাজউক চেয়ারম্যান এর উদ্যোগে উত্তরা ও পূর্বাচলে গাছ লাগানোর মাধ্যমে ঢাকাকে নতুন করে সাজানোর জন্য আমরা সুযোগ পেয়েছি। এর সর্বোত্তম ব্যবহার আমরা করার চেষ্টা করবো।”
এরপর উপদেষ্টা পূর্বাচলে রাজউক এর মেকানিকাল স্ট্যাকইয়ার্ড ঘুরে দেখেন ও পূর্বাচলসহ সমগ্র ঢাকাকে পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে বসবাস উপযোগী করে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন রাজউক এর সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) জনাব শেখ মতিয়ার রহমান, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) জনাব মো. হারুন-অর-রশীদ, প্রধান প্রকৌশলী জনাব নুরুল ইসলাম, বন বিভাগ ও বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ।