‘ফেব্রুয়ারির মধ্যভাগ থেকে দেশে আর নির্বাচনি পরিবেশ থাকবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, ‘দেশে নির্বাচন মানে একটা উৎসব, একটা মহাযজ্ঞ। এ সময়ে ঝড়-তুফান, রোজা ও পরীক্ষা হয়ে থাকে। ফলে এপ্রিলে নির্বাচনের জন্য পরিবেশ থাকবে না। এজন্য বিএনপিসহ প্রায় ৫০টি দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার আহ্বান জানাচ্ছে। বিএনপির প্রত্যাশা-নির্বাচন যেন ডিসেম্বরের মধ্যেই হয়, খুব বেশি হলে জানুয়ারিতে হতে পারে।’ সোমবার সকালে চুয়াডাঙ্গার নিজ বাড়িতে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ঈদোত্তর মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন তিনি।
অন্তর্র্বর্তী সরকারের উদ্দেশে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘কেন ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন নয়, সে ব্যাপারে কোনো কথা কিংবা ব্যাখ্যা দেয় না সরকার। কী কী কারণে ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে না তা-ও স্পষ্ট করতে পারেনি। এ ছাড়া নব্বইয়ের গণ অভ্যুত্থানের পর যে নির্বাচন হয়েছিল তা তিন মাসের মধ্যেই হয়েছিল। সে সময় যতটুকু সংস্কার করার তা করা হয়েছিল। কিন্তু এ সরকার প্রায় ১০ মাস আছে। এতদিনে খুব বেশি উল্লেখযোগ্য কিছু নেই।’
আওয়ামী লীগের নির্বাচনে আসার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একটি নিষিদ্ধ সংগঠন। এ সংগঠনের সভাপতি কিংবা সাধারণ সম্পাদক দাবি করাও বেআইনি। এ অবস্থান থেকে কে কী বলল, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তার কিছু নেই। তাদের কৃতকর্মের জন্য বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। কারও ফাঁসি হবে, কারও যাবজ্জীবন হবে, কেউ জেলে যাবে। তারা আবার নির্বাচন নিয়ে কথা বলে কোনভাবে!
এটিই তো অসংলগ্ন এবং বেআইনি।’
‘যারা দুষ্কর্ম করে তারা বিএনপির কেউ না’ উল্লেখ করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘বিএনপি স্পষ্ট বলে দিয়েছে অভিযুক্তদের ধরে আইনের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য। কেউ যদি অপকর্ম করে থাকে সে দায় তাকেই নিতে হবে। বিএনপি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নয়, চাঁদাবাজির সঙ্গে যুক্ত নয়। যারা করছে তারা বিএনপির কেউ না।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শামীম রেজা ডালিমসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী।