কোরবানির ঈদের আগে ও ছুটি চলার সময়ের কথা মাথায় রেখে নিরাপত্তা ছক কষেছে চট্টগ্রামের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। নিরাপত্তা জোরদারে প্রশাসনের পাশাপাশি আবাসিক এলাকাগুলোর নিজস্ব নিরাপত্তা জোরদারের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) জনসংযোগ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মাহমুদা বেগম বলেন, কোরবানির হাট এবং ছুটি চলাকালীন সময়ের কথা মাথায় রেখে নিরাপত্তা পরিকল্পনা করা হয়েছে। নগরীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশের ইউনিটগুলো টানা কাজ করে যাচ্ছে। এ সময় নিয়মিত সদস্যের পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। র্যাব-৭ এর মুখপাত্র এআরএম মোজাফফর হোসেন বলেন, কোরবানির হাট এবং আবাসিক এলাকার জন্য পৃথক নিরাপত্তা পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। জাল টাকা রোধ, অজ্ঞান পার্টির তৎপরতা থামাতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে টহল জোরদার করা হয়েছে।
জানা যায়, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রাথমিক নিরাপত্তা ছক তৈরি করা হয়েছে কোরবানির পশুর হাটকে ঘিরে। পশুর হাতে খুঁটি বাণিজ্য রোধে প্রশাসন থাকছে জিরো টলারেন্স। বাজারে জাল টাকা রোধ এবং অজ্ঞান পার্টির তৎপরতা রোধে নিয়মিত সদস্যদের পাশাপাশি থাকছে সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্য। পশুর বাজারে চাঁদাবাজি ঠেকাতে জোরদার করা হয়েছে টহল। ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের ছিনতাইকারীদের খপ্পরে পড়া ঠেকাতে নেওয়া হয়েছে আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ছুটি চলাকালীন ব্যাংক, অফিস-আদালত, স্বর্ণের দোকান, শপিংমল এবং বাসাবাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অপরাধ বিভাগের উপ-কমিশনার এবং থানার ওসিদের বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বাসাবাড়ি, অফিস-আদালত, শপিংমল, ব্যাংক ও বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী দিয়ে নিরাপত্তা-ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে। ঈদের ছুটির সময় দৃশ্যমান পুলিশিং নিশ্চিত করতে প্রতিদিন এলাকা এবং স্থান পরিবর্তন করে কার্যকর তল্লাশি চৌকি পরিচালনার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে থানাগুলোকে। তল্লাশিকালে সাধারণ লোকজনকে হয়রানি না করতে পুলিশ সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশনা দেওয়া হয়। খালি বাসাবাড়িতে চুরি-ডাকাতি প্রতিরোধে পুলিশি টহল বাড়ানো হবে। একই সঙ্গে আবাসিক এলাকার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে নিজস্ব নিরাপত্তা জোরদার এবং পুরো এলাকায় সিসি ক্যামেরা সচল রাখার অনুরোধ করা হয়েছে।