২০২১ সালে গ্যাবার দুর্গ জয় করতে ভূমিকা রেখেছিলেন শুবমান গিল, মোহাম্মদ সিরাজ ও ঋষভ পান্তরা। এবার এজবাস্টনে প্রথম জয়ের চিত্রনাট্য রচনা করলেন তারা। এতে অসামান্য অবদান রেখেছেন আকাশ দীপ। চতুর্থ ইনিংসে ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে চমৎকার বোলিংয়ে টেস্টে প্রথমবার ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিলেন এই পেসার।
আর অধিনায়ক হিসেবে দ্বিতীয় টেস্টেই ব্যাট হাতে একাধিক রেকর্ড গড়লেন গিল। প্রথম ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি, দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬১ রান। আর ম্যাচের মোমেন্টাম পাল্টে দেওয়া ফিফটি করেন পান্ত। জাদেজার ব্যাট থেকে আসে দুটি ফিফটি। প্রথম ইনিংসে ছয় উইকেট নেন সিরাজ। ম্যাচে ১০ উইকেট শিকারের কীর্তি গড়েন আকাশ। শেষ দিকে বৃষ্টিতে ভেস্তে যায় এক ঘণ্টারও বেশি সময়। তবে এক সেশনেরও বেশি সময় আগে প্রয়োজনীয় সাত উইকেট তুলে নেয় ভারত। তাতে এজবাস্টনে এলো বিশাল জয়। সিরিজেও ফিরল ১-১ ব্যবধানে সমতা।
ইংল্যান্ডকে ৬০৮ রানের টার্গেট দিয়ে ২৭১ রানেই স্বাগতিকদের আটকে দেয় ভারত। তাতে বিদেশের মাটিতে রেকর্ড ৩৩৬ রানের জয়ের কীতিৃ গড়েছে ভারতীয়রা। ১৯ বারের চেষ্টায় এজবাস্টনে সফল হলো ভারত। আর ২৫ বছর ও ৩০১ দিন বয়সে সর্বকনিষ্ঠ ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে বিদেশে টেস্ট জিতলেন গিল। আগের রেকর্ডটি ছিল সুনীল গাভাস্কারের। ১৯৭৬ সালে অকল্যান্ডে নিউজিল্যান্ডকে হারায় ২৬ বছর ও ২০২ দিন বয়সী গাভাস্কারের ভারত।
৩ উইকেটে ৭২ রানে শেষ দিন মাঠে নেমেছিল ইংল্যান্ড। আর ১১ রান করতেই অপরাজিত দুই ব্যাটার হ্যারি ব্রুক (২৩) ও অলি পোপ (২৪) আকাশের টানা দুই ওভারে মাঠ ছাড়েন।
তারপর বেন স্টোকস ও জেমি স্মিথের প্রতিরোধ। তাদের ৭০ রানের জুটি ভাঙে স্টোকসের (৩৩) বিদায়ে। ভারতের আগুন বোলিংয়ের সামনে বুক চিতিয়ে লড়াই করে হাফ সেঞ্চুরি করেন স্মিথ। তিনি ইনিংস সেরা ৮৮ রানে আকাশের পঞ্চম শিকার হন। শোয়েব বশিরের সঙ্গে ব্রাইডন কার্স শেষ উইকেটে ২৫ রান তুলে থামেন। কার্সকে (৩৮) গিলের ক্যাচ বানিয়ে জয় নিশ্চিত করেন আকাশ। ২৬৯ ও ১৬১ রান করে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন গিল।
প্রথম ইনিংসে ভারত ৫৮৭ রান করার পর ইংল্যান্ডকে ৪০৭ রানে অলআউট করে। দ্বিতীয় ইনিংসে তারা ৬ উইকেটে ৪২৭ রান করে ইংলিশদের বিশাল লক্ষ্য দেয়।
বিডি প্রতিদিন/কেএ