এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, ‘গণ অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র-জনতা এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ?্যকার সংঘাত ও ভুল বোঝাবুঝি জাতিকে ক্রমশ হতাশ করছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা কমলে দেশ মহাসংকটে পড়বে। সংস্কার, খুনিদের বিচার ও অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন সবই তখন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।’
গতকাল বিকালে চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে এবি পার্টি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মঞ্জু বলেন, ‘সবার সমর্থনে এ সরকার যাত্রা শুরু করলেও ক্রমশ ছাত্র-জনতা ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তাদের দূরত্ব তৈরি হয়েছে। সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে দুটি পক্ষ দাঁড়িয়েছে। কার কত অবদান সেটা নিয়েও শুরু হয়েছে দ্বন্দ্ব। একে অপরকে হেয়প্রতিপন্ন করতে রীতিমতো প্রতিযোগিতা চলছে। ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করার পর সব পক্ষের ঐক্য সুসংহত করা দূরের কথা, সে ঐক্য ধরে রাখার জন্যও সরকার কোনো চেষ্টা করেনি। ফলে সরকারের প্রতি রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা কমে যাচ্ছে।’
সমাবেশে এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ‘বাণিজ?্য নগরী চট্টগ্রামকে নতুন করে ঢেলে সাজাতে হবে। যার অংশ হিসেবে বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে হবে দেশের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে। পাহাড়, সবুজ সমতল আর সমুদ্রকে ঘিরে আমাদের বিশাল পর্যটনশিল্প গড়ে তুলে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করা সম্ভব। সেন্টমার্টিনের পরিবেশ রক্ষা করতে গিয়ে সেখানকার হাজার হাজার স্থানীয় জনগণ ও তাদের অর্থনীতিকে পথে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। সমুদ্রকে ঘিরে যে বিশাল আধুনিক মৎস্যশিল্প গড়ে তোলার সুযোগ ছিল তা আমরা দেখতে পাচ্ছি না।’
এবি পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম মহানগরের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম মহানগর যুব পার্টির আহ্বায়ক আবদুর রহমান মনির সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে এবি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) মো. দিদারুল আলম ও লে. কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, ব্যারিস্টার নাসরিন সুলতানা মিলিসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।