ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ। দেশের সুদীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় দিন। ৫৪ বছর আগে ১৯৭১-এর ১৭ এপ্রিল তদানীন্তন কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে শপথ নিয়েছিল স্বাধীন-সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার। ওই সময় আনুষ্ঠানিকভাবে পাঠ করা হয় স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। শপথ গ্রহণের এক সপ্তাহ আগে ১০ এপ্রিল শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপরাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে গঠিত হয় সরকার। রাষ্ট্রপতির অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত হন উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম। বৈদ্যনাথতলা ১৭ এপ্রিল থেকে হয়ে গেল ‘মুজিবনগর’। দিনটি স্মরণ করতে প্রতি বছর ১৭ এপ্রিল সরকারিভাবে উদ্যাপিত হয় ‘মুজিবনগর দিবস’। এবারও আম্রকানন বর্ণালি সাজে সাজানো হয়েছে। ভোরে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করবেন মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীরপ্রতীক। বৈদ্যনাথতলা ছিল এক অজপাড়াগাঁ।
১৭ এপ্রিল এ গাঁয়েই শপথ নেয় বাংলাদেশের প্রথম সরকার। শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ ঘোষণা করেন, আজ থেকে (১৭ এপ্রিল) বৈদ্যনাথতলার নাম হবে মুজিবনগর। ১৬ এপ্রিল রাতেই মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সারির নেতারা চলে আসতে থাকেন সীমান্তবর্তী মহকুমা মেহেরপুরে (বর্তমান জেলা মেহেরপুর)। দিবসটি উপলক্ষে ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন মুক্তিরুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীরপ্রতীক।
এরপর স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা, আনসার, বিজিবি, পুলিশ ও স্কুলের শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত গার্ড অব অনার।