জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারী প্রায় ২০০ জনের বেশি বীর যোদ্ধাদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাংলাদেশ মেডিকেল ইউনিভার্সিটি, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যোদ্ধাদের মাঝে এই উপহার প্রদান করা হয়।
কর্মসূচিটি যৌথভাবে আয়োজন করে আলতাফ-নিসা ফাউন্ডেশন ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জুলাই আন্দোলনের আহত ও পঙ্গু বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, ইউরোপীয় কয়েকটি দেশের প্রতিনিধি, বিশিষ্ট সমাজকর্মী, পেশাজীবী, শুভানুধ্যায়ী ও ফাউন্ডেশনের শুভানুধ্যায়ীরা। আরও উপস্থিত ছিলেন আলতাফ-নিসা ফাউন্ডেশন ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিবৃন্দ।
আয়োজকরা জানান, একটি ঐতিহাসিক দায়বদ্ধতার স্বীকৃতি, আহত বীরদের সম্মান ও মর্যাদার পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি, সহমর্মিতা ও সামাজিক সংহতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত উপস্থাপনের জন্য পবিত্র ঈদুল আজহার আগে এই কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আলতাফ-নিসা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, যাদের ত্যাগ-তিতিক্ষা ও বুকের রক্তের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে জগদ্দল পাথরের মতো জাতির বুকের ওপর চেপে বসা ভয়ঙ্কর স্বৈরাচারের পতন হয়েছে, ঈদের আগে তাদের হাতে সামান্য উপহার তুলে দিতে পেরে আমরা আনন্দিত ও গর্বিত। আমরা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বরাবরই জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের পাশে দাঁড়িয়েছি এবং ভবিষ্যতে এটা অব্যাহত থাকবে। আমরা আহতদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি, বহির্দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে গুরুতর আহতদের বাইরে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করার সুযোগ অনুসন্ধানে তৎপর রয়েছি।
জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এমডি সালাউদ্দিন বলেন, শহীদ পরিবার ও সকল আহত যোদ্ধাদের জন্য আমরা প্রতিষ্ঠার পর থেকে কাজ করে যাচ্ছি। বিভিন্ন প্রতিকূলতা ও বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও তাদের জন্য সর্বোচ্চ আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত। ভবিষ্যতে এটা চলমান থাকবে। এরই ধারাবাহিকতায় শহীদ ও আহত পরিবারের পুনর্বাসন, দেশে-বিদেশে উন্নত চিকিৎসাসহ বেশ কিছু বৃহৎ পরিকল্পনা নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত একজন বিদেশি প্রতিনিধি বলেন, বাংলাদেশের জুলাই আন্দোলনের সম্মুখসারী যোদ্ধাদের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমরা তাদের অন্তরের অন্তরস্থল থেকে দোয়া ও আশীর্বাদ জানিয়েছি। একইসঙ্গে সকল বাংলাদেশির জন্য আমাদের ঈদ মোবারক।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল