চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া থানাধীন নুর নগর হাউজিং সোসাইটির একটি বিল্ডিংয়ের ফ্ল্যাট থেকে বিদেশি মুদ্রা-ডলার, ইউরো, দিরহাম ও রিয়ালের জাল নোট উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানের সময় ঘটনাস্থল থেকে তামজিদ (২০) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় র্যাব-৭ এর একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে এসব নোট উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত জাল মুদ্রা বাংলাদেশি ২০ কোটি টাকা সমমূল্যের।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সিলেটে র্যাবের একটি দল অভিযান চালিয়ে জাল নোটসহ একজনকে গ্রেফতার করে। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী র্যাব-৭ এই অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে তামজিদের কাছ থেকে সাতটি মুঠোফোন, সাতটি ক্রেডিট কার্ড, ল্যাপটপসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস জব্দসহ বিপুল পরিমাণে বিদেশি মুদ্রা জব্দ করা হয়।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি একটি জাল টাকা তৈরির চক্রের সদস্য। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
জাল টাকার বিষয়ে তানজিম র্যাবকে জানায়, টাকাগুলো শুটিংয়ের কাজে ব্যবহারের জন্য ছাপানো হয়েছে। নগরের আন্দরকিল্লার একটি ছাপাখানা থেকে এসব ছাপানো হয়। প্রতি বান্ডেল নোট ৩০ টাকায় ছেপে আমি ৬০০ টাকায় বিক্রি করি।
র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের নিয়ম অনুযায়ী সরকার কাউকেই কোন ধরনের টাকা ছাপানোর অনুমতি দেয়নি। আমরা এখানে সত্যিকার জাল টাকার দেশি-বিদেশি নোট পেয়েছি। অনলাইনের মাধ্যমে এই জাল টাকাগুলো বিক্রি করা হতো। লেনদেনও অনলাইনেই হতো।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে যেখান থেকে নোটগুলো ছাপানো হয়েছে সেখানকার দুজনকে হেফাজতে নিয়েছি। আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করে দেখছি আরও কারা এসবের সঙ্গে জড়িত। তদন্ত শেষে আরও বিস্তারিত জানানো হবে।