চট্টগ্রাম বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এসএসসির বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার নৈর্ব্যত্তিক প্রশ্নপত্রে নানা অসঙ্গতি লক্ষ্য করা গেছে।
মঙ্গলবার পরীক্ষা পরবর্তী সময়ে এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। তবে অসঙ্গতি হওয়া প্রশ্নগুলোর নম্বর প্রতিটি পরীক্ষার্থীকে দিয়ে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. পারভেজ সাজ্জাদ চৌধুরী।
জানা যায়, মঙ্গলবার এসএসসির বাংলা দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষার হলে প্রশ্ন পাওয়ার পর পরীক্ষার্থীরা প্রশ্নের অসঙ্গতির কারণে বিড়ম্বনায় পড়েন। প্রশ্নে দেখা যায়, ১১ নম্বর প্রশ্নটির ক্রমিক দুইবার হয়ে যায়। পরে একটি কলম দিয়ে ১২ করে দেয়া হয়। তবে অপর পৃষ্ঠায় ১২ নম্বর ক্রমিক থেকে আবার শুরু হয় প্রশ্ন, অর্থাৎ কলম দিয়ে একটা, আগের একটা মোট দুটি হয়ে যায় ১২নং প্রশ্ন। অন্যদিকে ৩০ নম্বরের জন্য ৩০টি প্রশ্ন থাকার কথা থাকলেও ২৬ নম্বর ক্রমিকে কোনো প্রশ্ন ছিল না। অর্থাৎ ২৬ নম্বর প্রশ্ন ছাড়াই পরীক্ষার্থীদের প্রশ্ন দেয়া হয়। ফলে উত্তর পত্রে দাগানোর পরীক্ষার্থীরা বিড়ম্বনায় পড়েন।
পরীক্ষা শেষে এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ অভিভাবকরা। তারা জানান, ফাইনাল পরীক্ষা যেখানে লাখ লাখ পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। অথচ একটা প্রশ্নে কয়েকটা ভুল রেখে প্রশ্নপত্র শিক্ষার্থীদের দিয়েছে। পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র যাচাই করলে পরীক্ষার হলে এসে পরীক্ষার্থীদের বিড়ম্বনায় পড়তে হতো না। এক্ষেত্রে বোর্ড কর্মকর্তারা দায় এড়াতে পারেন না।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. পারভেজ সাজ্জাদ চোধুরী বলেন, এসএসসির বাংলা দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্নে অনিচ্ছাকৃত ভুলের কারণে কিছু অসঙ্গতি পাওয়া গেছে। তবে আমরা পরীক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করতে চাই- এটি নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। যেহেতু ৩টি প্রশ্নে অসঙ্গতি পাওয়া গেছে এই ৩টি প্রশ্নের নম্বর প্রতিটি শিক্ষার্থীকে দিয়ে দেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত