বকেয়া ২০ সপ্তাহের মধ্যে এক সপ্তাহের মজুরি ও রেশন পাচ্ছেন সিলেটের তিন বাগান ও এক কারখানার শ্রমিকরা।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ চা বোর্ড ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদেরকে এই মজুরি ও রেশন প্রদানের কথা রয়েছে।
তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন চা শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক হৃতেশ মোদী।
সূত্র জানায়, বুরজান টি কোম্পানির মালিকানাধীন বুরজান, ছড়াগাঙ, কালাগুল চা বাগান এবং বুরজান চা কারখানার শ্রমিকরা ২০ সপ্তাহের বেশি ধরে মজুরি ও রেশন বঞ্চিত রয়েছেন। অব্যাহত লোকসানের মুখে ব্যাংক থেকে ঋণ নবায়ন না করায় মালিকপক্ষ শ্রমিকদের সকল পাওনা পরিশোধ বন্ধ করে দেয়। একপর্যায়ে শ্রমিকরাও কাজে যোগদান বন্ধ করে আন্দোলনে নামেন। শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ না করে টি কোম্পানির মালিকও যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। এরপর থেকে শ্রমিকরা মালিককে পলাতক দাবি করে বাগান পরিচালনার দায়িত্ব সরকারকে গ্রহণ করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
আন্দোলনের মুখে বাংলাদেশ চা বোর্ড ও জেলা প্রশাসন শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের উদ্যোগ নেয়। এর অংশ হিসেবে আজ নিয়মিত শ্রমিকদের এক সপ্তাহ ও চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের এক মাসের মজুরি ও রেশন প্রদানের কথা রয়েছে।
সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খোশনূর রুবাইয়াৎ জানান, বুধবার বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন চা বাগানের শ্রমিকদের সাথে আলাপ করেন এবং তাদের দাবিগুলো শুনেন। এরপর জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় তাদেরকে এক সপ্তাহের মজুরি ও রেশন দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
চা বোর্ড ও জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন চা শ্রমিকরা। তারা শুক্রবার থেকে বাগানে কাজে যোগদানের ঘোষণা দিয়েছেন। বাগান থেকে যে চা পাতা উত্তোলন হবে সেগুলো বিক্রি করে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন