যশোরের কেশবপুরে বিরল প্রজাতির কালোমুখো হনুমানদের রক্ষায় এগিয়ে এসেছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। এরই অংশ হিসেবে অর্ধশতাধিক হনুমানকে খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।
শুক্রবার উপজেলার অফিসপাড়া ও খাদ্যগুদাম এলাকায় বিচরণকারী হনুমানদের কলা, পাউরুটি ও বাদাম খাওয়ানো হয়।
স্থানীয়রা জানান, কেশবপুর সদরের আশপাশের ১০–১৫ কিলোমিটার এলাকায় ৩৫০টির মতো কালোমুখো হনুমান বাস করে। কিন্তু বড় গাছপালা কেটে ফেলা, মাঠে মাছের ঘের সম্প্রসারণ ও প্রাকৃতিক আবাসস্থল নষ্ট হওয়ায় তারা খাদ্যসংকটে পড়েছে। ফলে অনেক হনুমান এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে।
এলাকাবাসী দাবি করেন, বনবিভাগ থেকে বরাদ্দ খাদ্য প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। হনুমান রক্ষায় খাদ্য বরাদ্দ বাড়ানোর পাশাপাশি সঠিক গণনার উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। সাম্প্রতিক সময়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একাধিক হনুমানের মৃত্যু হয়েছে। এজন্য বৈদ্যুতিক তারে নিরাপত্তা কভার দেওয়া প্রয়োজন।
বসুন্ধরা শুভসংঘের নেতৃবৃন্দ বলেন, বিরল এই প্রজাতি রক্ষায় স্থানীয়দের আরও সচেতন হতে হবে; এলাকায় একটি অভয়ারণ্য গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।
খাদ্য বিতরণ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন কেশবপুর উপজেলা খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ক্রীড়াবিদ নজরুল ইসলাম, শুভসংঘ কেশবপুর উপজেলা শাখার সভাপতি এএফএম শফি, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ অসীম কুমার ঘোষ, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক অজীত মুখার্জী, ক্রীড়া সম্পাদক শওকত হোসেন, বনবিভাগের খাদ্য বিতরণকারী আতিয়ার রহমান ও কালের কণ্ঠের কেশবপুর প্রতিনিধি নূরুল ইসলাম খান।
কেশবপুর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোছা. আনজু মনোয়ারা ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম শুভসংঘের এই মানবিক উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/এমই