যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ডশায়ারের গ্রাম ওয়ান্টেজ, যেখানে লোকজন তাদের প্যারিশ গির্জার ঘড়ির পাঁচশতম জন্মদিন উদযাপন করছেন। ইস্ট হেন্ড্রেডে অবস্থিত এ ঘড়িটিকে ব্রিটেনের সবচেয়ে প্রাচীন বা পুরনো ঘড়ি বলে মনে করা হয়। তৈরির পর থেকে এটি এক জায়গাতেই রয়েছে।
ঘড়িটির কোনো ডায়াল বা কাঁটা নেই। এটি সেন্ট অগাস্টিন গির্জার টাওয়ারে থাকা ঘণ্টার ওপর নির্ভর করে প্রতি ১৫ মিনিটে সময় জানিয়ে চলেছে আশপাশের মানুষকে। গির্জার ঘণ্টার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি টাওয়ার ক্যাপ্টেন নাইজেল ফিন্ডলি বলেছেন, সেন্ট অগাস্টিন গির্জায় ঘড়িটি বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যখন রাজা অষ্টম হেনরি ইংল্যান্ডের সিংহাসনে ছিলেন। তিনি বলেছেন, ‘একবার ভাবুন তো, ওই সময় এ ঘড়িটি নিয়ে কতটা উত্তেজনা হতো।’ প্রতি ১৫ মিনিটে ঘণ্টা বাজানোর পাশাপাশি বিশাল এক বাদ্যযন্ত্রের বাক্সের ভিতরের অংশের মতো দেখতে একটি ক্যারিলন প্রতিদিন চারবার ‘এঞ্জেলস সং’ নামে একটি সুর বাজায়। এটি সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে প্রতি তিন ঘণ্টা পরপর বাজে। ২০১৫ সালে ঘণ্টা বাজানোর জন্য ব্যবহৃত ঘড়ির একটি হাতুড়ি খুলে পড়ে যন্ত্রের ভিতরে আটকে যায়। ফলে ঘড়িটি বন্ধ হয়ে যায় ও আর শব্দ করেনি।
গির্জা পরিষদের সচিব অ্যান প্যাপেনহেইম বলেছেন, ‘বিষয়টি যেন একজন বন্ধুকে হারানোর মতো ছিল। কারণ, ঘড়িটি গ্রামের মানুষের জীবনের এক অপরিহার্য অংশ। বাগানে কাজের সময় ঘড়িটি আমাকে সত্যিই সময় বুঝতে সাহায্য করেছে। আর সেই বিষয়টি আমার খুব মনে পড়ত। ঘড়িটি এখন আবার বাজছে, দারুণ লাগছে আমার।’ ওয়ান্টেজ থেকে কয়েক মাইল দূরে তৈরি এই ঘড়িটির সংস্কার কাজে দীর্ঘ সময় লেগেছে। সংস্কারের সময় ঘড়িটিতে একটি স্বয়ংক্রিয় ঘুরানোর ব্যবস্থা বসানো হয়েছে। ফলে আর কাউকে প্রতিদিন সরু ও পাক খাওয়া সিঁড়ি বেয়ে উপরের কক্ষে উঠে হাত দিয়ে ঘড়িটি ঘোরাতে হয় না। এ সপ্তাহে ঘড়ির জন্মদিন উপলক্ষে টাওয়ারে গিয়ে ঘড়ির যন্ত্রপাতি এখনো কীভাবে কাজ করছে তা দেখে অবাক গ্রামের মানুষ।