একটি স্মার্টফোন কেনার আগে কি কখনো ভেবে দেখেছেন, ফোনটি কি বৈধ নাকি অবৈধ? নতুন হোক বা পুরোনো, বাজারে এখন চোরাই বা নকল আইএমইআই (IMEI) যুক্ত ফোনের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এমন ফোন শুধু আপনার ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ফেলে না, দেশের বিপুল রাজস্বও ক্ষতিগ্রস্ত করে।
যদিও প্রথমে সমস্যা দেখা না দিতে পারে, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এবার নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে, যা ব্যবহারকারীদেরও ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।
তবে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। বিটিআরসি এখন সহজভাবে আপনার নতুন বা ব্যবহৃত ফোনটির বৈধতা যাচাই করার সুযোগ দিয়েছে। শুধু একটি এসএমএস বা অনলাইন চেকের মাধ্যমে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন, ফোনটি কি অফিসিয়াল ডেটাবেজে নিবন্ধিত আছে কি না। চলুন, জানি ফোন যাচাই করার পুরো প্রক্রিয়া।
এসএমএসের মাধ্যমে যাচাই পদ্ধতি
ধাপ-১: প্রথমে মোবাইলের কিপ্যাডে *#06# ডায়াল করুন। স্ক্রিনে দেখা যাবে ফোনের আইএমইআই নম্বর।
ধাপ-২: মোবাইল ফোন থেকে *১৬১৬১# নম্বরে ডায়াল করুন।
ধাপ-৩: অটোমেটিক বক্স এলে হ্যান্ডসেট-এর ১৫ ডিজিটের আইএমইআই (IMEI) নম্বরটি লিখে প্রেরণ করুন।
ধাপ-৪: ফিরতি মেসেজের মাধ্যমে ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের/হ্যান্ডসেটের হালনাগাদ অবস্থা জানানো হবে।
অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে যাচাই পদ্ধতি
বিটিআরসির ওয়েবসাইটে ‘Verify IMEI’ অপশনে গিয়ে আইএমইআই (IMEI) নম্বরটি লিখুন। সঙ্গে সঙ্গে ফলাফল দেখা যাবে–আপনার ফোনটি ‘Valid’, ‘Invalid’ নাকি ‘Clone’।
অবৈধ ফোন ব্যবহার করলে কী হবে
বিটিআরসি জানিয়েছে, অনুমোদিত নয় এমন ফোনে মোবাইল সিম কাজ করবে না। ফলে কল, এসএমএস বা ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে না। পাশাপাশি এসব ডিভাইস নিরাপত্তা ঝুঁকিও তৈরি করতে পারে।
গ্রাহকদের পরামর্শ
বিটিআরসি পরামর্শ দিয়েছে, নতুন বা পুরোনো ফোন কেনার আগে অবশ্যই আইএমইআই যাচাই করে নিতে। বিশেষ করে অনলাইন বা বিদেশ থেকে আনা ফোন কেনার সময় ফোনের বাক্স ও ডিভাইসের আইএমইআই মিলিয়ে দেখা জরুরি। রিমেক
বিডি-প্রতিদিন/মাইনুল