এ বছর সময়টা ভালো যাচ্ছিল না অ্যারিনা সাবালেঙ্কার। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে হারেন বেলারুশের মেয়ে। ব্যতিক্রম ছিল না ফ্রেঞ্চ ওপেনেও। উইম্বল্ডনে সেমিফাইনালে উঠেও বিদায় হতে হয় এ শীর্ষ তারকাকে। অবশেষে বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যামে নিজেকে উজাড় করে দেন তিনটি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক সাবালেঙ্কা। ইউএস ওপেনের শুরু থেকেই দুরন্ত খেলতে থাকেন টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন। সব মিলিয়ে মাত্র একটি সেটে হারেন এ তারকা। অবশেষে আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে শিরোপা ধরে রাখার লড়াইয়ের দিন কোর্টে ঝড় তুলেন সাবালেঙ্কা। বছরের শেষ আসরে পেলেন সাফল্যের স্বাদ। টানা দ্বিতীয়বারের মতো ইউএস ওপেনের ট্রফি উঁচিয়ে ধরলেন তিনি। স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের আমান্ডা আনিসিমোভাকে ৬-৩, ৭-৬(৭-৩) গেমে হারিয়ে ক্যারিয়ারের চতুর্থ গ্র?্যান্ড স্ল্যাম জিতেছেন সাবালেঙ্কা। তবে নিজের সর্বোচ্চটাই দিয়েছেন আমান্ডা। মানসিক অবসাদ কাটিয়ে দারুণভাবে উন্নতি করেছেন তিনি। এবারের উইম্বল্ডনে প্রথমবার গ্র?্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে উঠলেও ইগা সুয়াটেকের কাছে হেরে যান। এবার হেরে গেলেন ইউএস ওপেনেও।
এদিকে ২৭ বছর বয়সি সাবালেঙ্কার এটি ছিল গ্র?্যান্ড স্ল্যাম টুর্নামেন্টে শততম জয়। টেনিসের এ শীর্ষ তারকা মাইলফলকটি রাঙিয়েছেন কাঙ্ক্ষিত শিরোপায়। সেরেনা উইলিয়ামসের ১১ বছর পর কোনো খেলোয়াড় টানা দ্বিতীয়বারের মতো ইউএস ওপেন জিততে পারলেন। কিংবদন্তি সেরেনা টানা তিনবার ট্রফি জিতেছিলেন ২০১২ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত। চ্যাম্পিয়ন হয়ে সাবালেঙ্কা এ সময়ে হার্ড কোর্টের অবিসংবাদিত রানির খেতাবও ধরে রাখলেন। তার চারটি গ্র?্যান্ড স্ল্যাম শিরোপাই হার্ড কোর্টে। ২০২২ থেকে কোনো হার্ড কোর্ট আসরের ফাইনালের আগে থামেননি তিনি। ক্যারিয়ারে সাবালেঙ্কা দুইবার করে ইউএস ওপেন (২০২৪, ২০২৫) ও অস্ট্রেলিয়ান ওপেন (২০২৩, ২০২৪) জয় করেছেন। একাধিকবার উইম্বল্ডনের সেমিফাইনালে খেলেছেন। এখন পর্যন্ত একবারও ফাইনালে উঠতে পারেননি। ফ্রেঞ্চ ওপেনে একবার ফাইনালে উঠলেও শিরোপার দেখা পাননি।
সাবালেঙ্কার জন্য এবারের শিরোপা জয় বিশেষ কিছু। একের পর এক ব্যর্থতার পর শিরোপা নিশ্চিত হতেই হাঁটু গেড়ে কোর্টে বসে পড়েন। আনন্দে কেঁদে ফেলেন, ‘আমি জানতাম, যতটা পরিশ্রম করেছি, এ বছর একটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম আমার প্রাপ্য। শিরোপা ধরে রাখা ও কোর্টে দারুণ খেলার মূল্য আমার কাছে অনেক। লড়াই করে যাওয়া ও ফাইনালে এভাবে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারার মূল্যও অনেক। এই মুহূর্তে নিজেকে নিয়ে আমি দারুণ গর্বিত।’ এদিকে উইম্বল্ডনের পর ইউএস ওপেনেও কাঁদতে হয়েছে আমান্ডাকে, ‘মৌসুমে টানা দুটি ফাইনালে ওঠা ছিল দারুণ, তবে হেরে যাওয়াটা প্রচণ্ড কঠিন।’ সাবালেঙ্কার পারফরম্যান্সের প্রশংসা করতেও ভুলেননি তিনি।