খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, চাল শুধুমাত্র মানুষের খাদ্যের জন্য নয়। চাল গরু, ছাগলও খায়। তাদের পালতে গেলে খাওয়াতে হয়। হাঁস-মুরগি খায়, মাছসহ অনেক প্রাণীই খায়। বর্তমানে চালের বহুবিধ ব্যবহার রয়েছে। তাই চালের উৎপাদনের সঙ্গে বাজারে চাহিদা না থাকলে এ জিনিসগুলো আসত না। যারা চাল আনেন, তারা মূলত বাজারে প্রফিটের সুযোগ দেখেই আনছেন।
বুধবার দিনাজপুর সার্কিট হাউসে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার, আট জেলার জেলা প্রশাসক, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও আট জেলার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের সঙ্গে চলমান খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি বিষয়ক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীর ও রংপুর বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম, এনডিসি।
সিন্ডিকেটের বিষয়ে খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, লাইসেন্সধারীরা কতদিন এবং কী পরিমাণ চাল বা খাদ্যশস্য মজুদ রাখতে পারবেন, তা লাইসেন্সে নির্দিষ্ট থাকে। কেউ লাইসেন্স ছাড়া মজুদ করলে বা লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করলে, অনিয়ম করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকার চাল তেঁতুলিয়ায় উদ্ধার হওয়ার বিষয়ে তিনি জানান, তখন খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু ছিল না। এ বিষয়ে ইনকোয়ারি চলছে। কোনো অনিয়ম থাকলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
চালের বাজার বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও দাবি খাদ্য উপদেষ্টার।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত