প্রীতি ম্যাচের ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশ নারী জাতীয় দল প্রথম ম্যাচ ড্র করেছিল। ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়। টানা দুবার সাফ জেতা অধিনায়ক সাবিনা খাতুনকে বাদ দিয়েই খেলতে গেছে বাংলাদেশ। এ নিয়ে কোচ পিটার বাটলার সমালোচিত হচ্ছেন। কারও কারও ধারণা, প্রতিশোধ নিতেই বাটলার এ পথ বেছে নিয়েছেন। কেননা সাবিনার নেতৃত্বেই কোচের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিলেন জাতীয় ফুটবল দলের ১৮ জন খেলোয়াড়। কোচ অবশ্য বলছেন, পারফরম্যান্সের কারণে সাবিনাকে রাখা হয়নি। অথচ কিছুদিন আগে ভুটান নারী লিগে সাবিনা একাই ৯ গোল করেন। এ ব্যাপারে আবার বাটলারের বক্তব্য ছিল-‘ভুটানের ঘরোয়া আসর খুবই নিম্নমানের। আমাদের ষাট ছুঁইছুঁই নারী বিভাগীয় প্রধানও (মাহফুজা আক্তার কিরণ) ওখানে খেললে গোল পাবেন।’
এক বিতর্কের অবসান ঘটার পর আরেক বিতর্ক নিয়ে নারী জাতীয় দল খেলতে গেছে। যেখানে খলনায়ক হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে কোচ বাটলারকে। যাক, আফঈদারা আজ দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবেন জর্ডানের বিপক্ষে। কী করবে বাংলাদেশ। কেননা র্যাংকিংয়ের বিচারে স্বাগতিকরা খুবই শক্তিশালী। জর্ডান যেখানে ৭৪, বাংলাদেশ সেখানে অবস্থান করছে ১৩৩ নম্বরে। ৫৯ ধাপ এগিয়ে জর্ডান। আম্মানে মেয়েরা আজ কী করবেন সেটাই প্রশ্ন। অবশ্য বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের জয়ের রেকর্ড রয়েছে। তা কি অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে?