চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্যের পর চাঁদ সংক্রান্ত ইসরোর পরবর্তী প্রকল্পের সময় জানালেন ভারতের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। চন্দ্রযান-৪ নতুন লক্ষ্য নিয়ে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দেবে। চাঁদের মাটি থেকে সেখানকার পাথরের নমুনা সংগ্রহ করাই হবে পরবর্তী অভিযানের লক্ষ্য। ২০২৭ সালে চন্দ্রযান-৪ উৎক্ষেপণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এক সাক্ষাৎকারে জিতেন্দ্র সিং জানান, চন্দ্রযান-৪ অভিযানে অন্তত দু’বার রকেট উৎক্ষেপণ করা হবে। ভারী এলভিএম-৩ রকেটে অভিযানের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান পাঠানো হবে। নির্দিষ্ট কক্ষপথে সেগুলো স্থাপন করা হবে।
ভারতীয় মন্ত্রী বলেন, “চাঁদের জমি থেকে সেখানকার পাথর এবং মাটির নমুনা সংগ্রহ করা এবং তা পৃথিবীতে নিয়ে আসতে চায় ইসরো। সেই লক্ষ্যেই চন্দ্রযান-৪ প্রস্তুত করা হচ্ছে।”
চাঁদে মহাকাশযান পাঠাতে আরও দু’বছর সময় নেবে ইসরো। তবে তার আগে আরও দু’টি গুরুত্বপূর্ণ অভিযান ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার সামনে রয়েছে। ২০২৬ সালেই ‘গগনযান’ উৎক্ষেপণের কথা। ওই প্রকল্পের মাধ্যমে ভারতীয়দের নিয়ে মহাকাশে একটি নির্দিষ্ট উচ্চতায় যাবে মহাকাশযান। তারপর আবার পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হবে তাদের। এরপরে ‘সমুদ্রযান’ প্রকল্প বাস্তবায়িত করার কথা ইসরোর। তা-ও হবে ২০২৬ সালে। ওই প্রকল্পে তিন বিজ্ঞানীকে সমুদ্রের ছ’হাজার মিটার পর্যন্ত গভীরতায় নিয়ে যাওয়া হবে। ভারতের বিজ্ঞান সাধনার ক্ষেত্রে এই দুই অভিযানই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চলেছে বলে জানান তিনি।
২০২৩ সালের আগস্টে ভারতের চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার চাঁদের মাটি স্পর্শ করে। ল্যান্ডার বিক্রমের পেট থেকে বেরিয়ে চাঁদের মাটিতে ঘুরে বেড়ায় রোভার প্রজ্ঞান। নানা নমুনা সংগ্রহ করে ১৪ দিন ধরে। তারপর পরিকল্পনা অনুযায়ী চাঁদের মাটিতেই ওই যন্ত্র নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্যের ফলে ভারত বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে এই তালিকায় নাম লেখায়। চাঁদের মাটিতে এর আগে মহাকাশযান নামিয়েছিল কেবল যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীন। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, ইন্ডিয়া টিভি নিউজ, টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া
বিডি প্রতিদিন/একেএ