যথাযোগ্য মর্যাদায় কুয়েতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি’ ও ‘রেমিট্যান্স যোদ্ধা দিবস’ পালন করেছে। এ উপলক্ষে জুলাই গ্রাফিতি ও ফটোগ্যালারির উদ্বোধন, আলোচনা সভা এবং দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, কুয়েতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্য এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে কয়েকটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আলোচনায় রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘জুলাই আন্দোলন ছিল গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও মৌলিক অধিকারের পক্ষে একটি বলিষ্ঠ ও ঐক্যবদ্ধ কণ্ঠস্বর। লাখো মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে রাস্তায় নেমে আসে একটি স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক ও মানবকল্যাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রাষ্ট্র গঠনের প্রত্যাশায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘জুলাইয়ের চেতনায় অনুপ্রাণিত হয়ে কুয়েতপ্রবাসী বাংলাদেশিরা প্রতিদিন কঠোর পরিশ্রম করে, সৎভাবে জীবনযাপন করে এবং দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে নিরব সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন।’
রাষ্ট্রদূত শহীদ ও আহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং তাঁদের পরিবারসহ বিশ্বের সব রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের প্রতি গভীর সম্মান প্রকাশ করে তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে, শহীদদের আত্মার মাগফিরাত, আহতদের সুস্থতা ও সকল রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের মঙ্গল কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে দি কর্মসূচি সমাপ্ত হয়।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ