সময়টা মোটেই ভালো যাচ্ছিল না ওয়েস্ট ইন্ডিজের। সাম্প্রতিক সময়ে নেপালের বিপক্ষেও হারের অভিজ্ঞতা হয়েছে ক্যারিবিয়ানদের। অথচ তারাই বাংলাদেশকে হোম গ্রাউন্ডে হোয়াইটওয়াশ করার স্বাদ দিয়ে গেছে। উইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজজুড়ে ব্যাটে-বলে কোনো লড়াইই উপহার দিতে পারেনি বাংলাদেশ।
সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে কোনো মতে দেড়শ পাড় করে টাইগাররা। তা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৫২ রানের লক্ষ্য ১৯ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটে পেরিয়ে যায়। এই সিরিজ হারের পেছনে ক্লান্তি ও কন্ডিশনকে দায়ী করেছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক লিটন দাস। তার বিশ্বাস বিশ্রাম পেলেই সবাই আবার নতুন উদ্যোম নিয়ে ফিরে আসবেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সিরিজ শুরু হওয়াার আগেও আমি বলেছিলাম এখান থেকে একটা কঠিন সময় আসুক। আমার মনে হয় তারা আমাদের সব জায়গা থেকে কঠিন সময় দিয়েছে। তারা অনেক ভালো বোলিং করেছে, তাদের ব্যাটিংও অনেক ভালো ছিল। অবশ্যই, আপনি যখন ধারাবাহিকভাবে রান করবেন না...চিন্তার কোনো বিষয় না কারণ এখানে যারা ক্রিকেট খেলে তারা পরীক্ষিত, অনেক দিন ধরেই খেলে আসছে।
বাংলাদেশ দল টানা ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে অধিনায়ক বলেন, অনেক সময় দুই-একটা সিরিজ এমন যেতে পারে। যে খেলোয়াড়রা এখানে খেলেছে তারা টানা দুই-আড়াই মাস ধরে ক্রিকেট খেলছে। আমার মনে হয় অনেক সময় ব্রেকটাও গুরুত্বপূর্ণ। এখন একটা ব্রেক আছে, ব্রেকের পর রিফ্রেশ হয়ে আসবে। আমার মনে হয় ভালো কিছুই হবে।
তিন ম্যাচেই বাংলাদেশ চাপের মধ্যে ছিল সেটা স্বীকার করে নিয়েছেন লিটন। তবে কন্ডিশনকে দায়ী করেছেন তিনি। বিশেষ করে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিশিরের কারণে বাড়তি সুবিধা পেয়েছে বলে দাবি লিটনের।
তিনি বলেন, তিনটি ম্যাচেই আমরা চাপের মধ্যে ছিলাম। পিচ, শিশির আর আবহাওয়া— আমাদের পক্ষে ছিল না। কিছু উইকেটে ১৫০–১৬০ রান করাও সহজ ছিল না। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শিশির তাদের ব্যাটিংয়ে অনেক সহায়তা করেছে। আমাদের বোলাররা চেষ্টা করেছে, কিন্তু কিছু বিষয় নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল।
বিডি প্রতিদিন/কেএ