সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পোস্টে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে সেই পোস্টটি মুছে ফেলেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) জাতীয় ছাত্রশক্তির আহ্বায়ক ফয়সাল মুরাদ।
শুক্রবার রাতে কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করে তিনি পদত্যাগের পোস্ট দিয়ে কিছু সময় পরে সেটি মুছে ফেলেন।
এর আগে এক পোস্টে তিনি লেখেন, জকসু নিয়ে জাতীয় ছাত্রশক্তির কেন্দ্রীয় কমিটির তেমন কোনো চিন্তাভাবনা নেই। তারা শুধু ডাকসু নিয়েই ব্যস্ত ছিল, আর এখন কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ ভাগাভাগির দ্বন্দ্বে নিমজ্জিত। আমরা যারা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশক্তির রাজনীতি করেছি, তাদের প্রতি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি আরও লেখেন, আমি সংগঠনের আহ্বায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা দিয়ে দায়িত্ব পালন করে এসেছি। তবে আমার সহকর্মীদের অন্ধকারে রেখে, তাদের অ্যাকাডেমিক জীবনের ক্ষতি করে, রাজনৈতিক স্বপ্নগুলোকে পুড়িয়ে ছাই করে সেই দায় আমি আর বহন করতে পারব না। তাই আমি সংগঠনের দায়িত্ব থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিয়েছি।
এদিকে, সংগঠনটির শীর্ষ নেতার পদত্যাগের পোস্ট দিয়ে পুনরায় সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জবি শাখার সদস্য সচিব শাহিন মিয়া বলেন, এখানে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আহ্বায়ক আমাদের সংগঠনের সাথেই আছেন। কিছুক্ষণ আগেই আমার সাথে কথা হয়েছে। আশা করি শিগগিরই তিনি পুরো বিষয়টি স্পষ্ট করবেন।
তিনি বলেন, সামনে আমাদের জকসু নির্বাচন। এ নির্বাচনকে ঘিরে সংগঠন চালানোর জন্য তো কিছু খরচের জন্য টাকার প্রয়োজন হয়। সব সংগঠনের মতই আমরাও কেন্দ্রের কাছে বিষয়টি জানিয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতারা আমাদের গুরুত্ব না দিয়ে নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত আছেন। এ জন্য ফয়সাল ভাই রাগ-ক্ষোভ থেকে পোস্টটি দিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/কেএ