ঢাকা মহানগর ইমারত বিধিমালা ২০০৮ অনুসারে ভবন নির্মাণসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে ঢাকা শহরের ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিক সমিতি। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এসব দাবি জানানো হয়। সমিতির দাবিগুলো হলো- ঢাকা শহরের সব এলাকায় ২০০৮ সালের বিধিমালা অনুযায়ী ভবন নির্মাণের অনুমতি প্রদান ও রাস্তা অনুযায়ী যেখানে যত তলা ভবন পাওয়া যেত, সেখানে তত তলা অনুমোদন দিতে হবে। নির্মাণ বিধিমালা ২০০৮ অনুযায়ী সংশোধিত বিধিমালা প্রণয়ন করা। ঢাকা শহরের জলাশয়, খাল-বিল, নদী-নালা, রাস্তাঘাট, খেলার মাঠ, পার্ক, শিল্প প্রতিষ্ঠান, কৃষি, আবাসিক স্থান সংরক্ষণের জন্য ড্যাপ সংশোধন করা। ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা মুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। রাজউক থেকে ভবন নির্মাণে অনুমোদন সহজীকরণসহ যাবতীয় হয়রানি বন্ধ করা। মানববন্ধনে ঢাকা শহরের ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. দেওয়ান এম এ সাজ্জাদ বলেন, ড্যাপের (২০২২-২০৩৫) কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ঢাকা শহরের ভূমি মালিকরা ব্যাপক ক্ষতি ও বৈষম্যের শিকার।
ড্যাপের মূল উদ্দেশ্য ভূমির শ্রেণিবিন্যাস, সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ করা। কিন্তু এসব উদ্দেশ্যকে পাশ কাটিয়ে নির্মাণ বিধিমালার বিষয়টিকে প্রাধান্য না দিয়ে বিগত সরকারের কিছু সুবিধাবাদি লোক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ড্যাপ প্রণয়ন করে নগরবাসীর বাসস্থানের অধিকারকে হরণ করেছে। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত ড্যাপে ঢাকা শহরের ২০ শতাংশ এলাকায় উচ্চ ভবন নির্মাণ করা গেলেও অবশিষ্ট ৮০ শতাংশ এলাকায় তার অর্ধেক উচ্চতা ও আয়তনের ভবন নির্মাণ করা যাচ্ছে।
ফলে আমরা ঢাকা শহরের ৮০ শতাংশ মানুষ বিগত দুই বছর ধরে কোনো নকশা অনুমোদন করতে পারছি না।
বক্তারা বলেন, ২০০৮ এ যে পরিমাণ জমিতে ১০ তলা ভবনসহ যতগুলো ফ্ল্যাটের নির্মাণের অনুমতি পাওয়া যেত বর্তমানে একই পরিমাণ জমিতে পাঁচ তলা ভবন নির্মাণের অনুমতি ও ফ্ল্যাট সংখ্যা কমিয়ে দিচ্ছে- যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার কথাও বলেন তারা।
মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মো. হুমায়ুন কবির, মো. জাহাঙ্গীর আলম, এ কে এজাজ মাহমুদ প্রমুখ।