শেরপুরের বিশাল চরাঞ্চলে চার দিকে শুধু সবুজ সবজি ক্ষেত। অগ্রহায়ণের এই সময় চাষির মাঠ আর বাজার-ঘাট শীতের সবজিতে ভরা থাকে। কিন্তু এবার এই সময়ে মাঠে-ঘাটে সবজির আমদানি কম। বাজারে শীতের নতুন সবজি আসলেও দাম বেশ চড়া।
উৎপাদনকারী, পাইকার ও খুচরা কারবারিরা বলছে, উৎপাদন ও সরবরাহ কম। অন্যদিকে, ভোক্তারা বলছে দাম বেশি। কৃষি বিভাগ বলছে কার্তিকের বৃষ্টিতে অন্তত দুইবার সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। এতে কৃষকের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। ফসল আসতে কিছুটা দেরি হচ্ছে তাই সবজির দাম চড়া।
বাজার সূত্রে জানা গেছে গত সপ্তাহের চেয়ে সব সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। সাধারণ বেগুন কেজিতে ১৫ টাকা বেড়ে এখন ৮৫ টাকা, গোল বেগুন ৮০ থেকে বেড়ে ১০০ হয়েছে। দেশি সিম আড়াইশ টাকা কেজি। প্রতিটি লাউ ৬০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
শাকের দামও বাজারে বাড়তি। এক আঁটি লাউ শাক গত সপ্তাহে ছিল ১৫ টাকা, এখন ২০ টাকা। লাল শাকের প্রতি আঁটি ১০ টাকা থেকে বেড়ে ১৫ টাকা হয়েছে। কাঁচা মরিচের কেজি ১৩০ টাকা থেকে বেড়ে ১৬০ টাকা হয়েছে। অল্প পরিমাণ টমেটো বাজারে আসছে যা দাম ৩শ টাকা দাম চাওয়া হচ্ছে ।
চরাঞ্চলের চাষি হাসান আলী, সবুজ মিয়া, আকবর জানিয়েছে ক্ষেত নষ্ট হয়েছে দুবার। কীটনাশকের দামও বেশি। দাম এই সময়ে কিছুটা বেশি তবুও আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
শেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসন বলেছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে কৃষক ক্ষতি গ্রন্থ হয়েছে। এক সবজি ক্ষেত তিনবার প্রস্তুত করতে হয়েছে। উৎপাদনেও দেরী হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সবজির বাজারে স্বস্তি ফিরবে বলে আশ্বস্ত করেছেন এই কর্মকর্তা।
বিডি-প্রতিদিন/তানিয়া