এনবিআর বিলুপ্ত করে প্রণীত রাজস্ব অধ্যাদেশ বাতিল এবং টেকসই রাজস্ব সংস্কারের দাবিতে দেশের কাস্টমস, ভ্যাট ও ট্যাক্স বিভাগের বিভিন্ন দফতর এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রধান কার্যালয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো কলম বিরতি কর্মসূচি পালন করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় কলম বিরতি শুরু হয়ে চলবে বিকেল ৩টা পর্যন্ত।
সকাল ১০টায় অফিস যথারীতি শুরু হলেও সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে কর্মকর্তা-কর্মচারী সকলেই অফিস উপস্থিত রয়েছেন।
রাজধানীর বিমানবন্দরের কাস্টম হাউজ ও কমলাপুরের আইসিটিতে অ্যাসেসমেন্ট বন্ধ রয়েছে। তবে, আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা, রপ্তানি কার্যক্রম এবং এনবিআরের জাতীয় বাজেট প্রণয়ন কার্যক্রম এই কর্মসূচির আওতা বহির্ভূত রয়েছে।
১৭ মে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্তও একইভাবে কলমবিরতি কর্মসূচি চলবে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কলম বিরতি কর্মসূচি পালন করা হয়।
এদিকে দেশ, জনগণ ও সার্ভিসের স্বার্থরক্ষায় নির্লিপ্ততার প্রতিবাদে বিসিএস (ট্যাক্সেশন) অ্যাসোসিয়েশন ও বিসিএস কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি, মহাসচিব, ট্রেজারারসহ, যুগ্ম মহাসচিব, নির্বাহী সদস্যসহ ৩০ জনের বেশি নেতা পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে। অ্যাসোসিয়েশনের কিছু ঊর্ধ্বতন নেতার এনবিআর স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের বিপক্ষে কাজ করার প্রতিবাদে তারা গণহারে এই পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে।
এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ জানায়, এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ডাকে এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী। দেশের রাজস্ব ব্যবস্থার যুগোপযোগী ও টেকসই সংস্কারের দাবিতে এটি একটি স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ হিসেবে দেখা হয়েছে। বর্তমান রাজস্ব ব্যবস্থার সংস্কার প্রক্রিয়া সমন্বিত না হওয়া এবং কাস্টমস ও ট্যাক্স সার্ভিসের হাজার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর মতামত গ্রহণ না করেই সরকারের জারি করা অধ্যাদেশের মাধ্যমে যে সংস্কারের প্রস্তাব করা হয়েছে, তা দেশের রাজস্ব ব্যবস্থায় বিপর্যয় সৃষ্টি করবে। এ ধরনের সংস্কারের আগে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মতামত নেওয়া এবং তা আলোচনা-পর্যালোচনার মাধ্যমে এগোনো উচিত।
গতকাল কর্মসূচিতে সব কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশগ্রহণ করায় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ঐক্য পরিষদ। একইসঙ্গে করদাতা এবং সেবাপ্রার্থীদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখও প্রকাশ করেছে তারা।
গত ১৩ মে আগারগাঁও এনবিআরের সামনে ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের’ ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি থেকে এই কলম বিরতির ঘোষণা দেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। দাবি আদায় না হলে ১৭ মে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও অবস্থান কর্মসূচিতে জানানো হয়।
বিডি প্রতিদিন/কেএ