আবাসন কর্মসূচির শর্ত শিথিল করে নতুন ধরনের গোল্ডেন ভিসা চালুর ঘোষণা দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। পাইলট প্রকল্প হিসেবে বাংলাদেশ ও ভারতের নাগরিকদের জন্য মনোনয়নের ভিত্তিতে নতুন এই ভিসা চালু করা হয়েছে। তবে নতুন এই গোল্ডেন ভিসা পাওয়ার জন্য কিছু শর্তও জুড়ে দিয়েছে দেশটি।
নতুন করে চালু করা এই গোল্ডেন ভিসা কর্মসূচিতে নার্স, শিক্ষক এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে আগে কেবল উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী, মেধাবী শিক্ষার্থী এবং বিশেষজ্ঞদের জন্য গোল্ডেন ভিসার সীমিত সুযোগ থাকলেও বর্তমানে তা আরও বিস্তৃত পরিসরে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে আমিরাত। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটির কর সুবিধা, বিশ্বমানের অবকাঠামো এবং স্থিতিশীল পরিবেশের কারণে অনেকেই সেখানে বসবাস করতে আগ্রহী। শর্ত শিথিল করায় এখন বিনিয়োগকারী, উদ্যোক্তা, মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিজ্ঞানী, করপোরেট নির্বাহী, ফ্রন্টলাইন কর্মী, স্কুলশিক্ষক, অধ্যক্ষ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ১৫ বছরের অভিজ্ঞ নার্সরাও আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা পাবেন। এ ছাড়া ইউটিউবার, পডকাস্টার, ডিজিটাল কনটেন্ট নির্মাতা, ২৫ বছরের বেশি বয়সি ই-স্পোর্টস পেশাজীবী, বিলাসবহুল ইয়টের মালিক ও মেরিটাইম নির্বাহীদেরও এই কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, আমিরাতের নতুন ‘মনোনয়ন-ভিত্তিক ভিসা নীতিমালার’ আওতায় ভারতীয় ও বাংলাদেশি নাগরিকরা এখন থেকে আজীবনের জন্য গোল্ডেন ভিসা পাওয়ার সুযোগ পাবেন। এই ভিসার জন্য ফি ১ লাখ দিরহাম (বাংলাদেশি প্রায় ৩৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা) নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে ৫ হাজারের বেশি ব্যক্তি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। নতুন এই গোল্ডেন ভিসা কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বরত প্রতিষ্ঠান রায়াদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রায়াদ কামাল আইয়ুব বলেন, আমিরাতের নতুন এই গোল্ডেন ভিসা কর্মসূচি বাংলাদেশ ও ভারতীয়দের জন্য সুবর্ণ সুযোগ। ভিসার জন্য আবেদন করা হলে প্রথমে আবেদনকারীর ব্যাকগ্রাউন্ড যাচাই করা হবে। এতে অর্থ পাচার, অপরাধমূলক রেকর্ডের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্টও যাচাই করে দেখা হবে। পাশাপাশি আমিরাতের বাজার ও ব্যবসায়িক পরিবেশে অবদান রাখতে পারার যোগ্যতাও বিবেচনা করা হবে।
উল্লেখ্য, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সম্পদশালী ব্যক্তিদের আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে ২০১৯ সালে গোল্ডেন ভিসা কর্মসূচি চালু করে আমিরাতের সরকার। সে সময় গোল্ডেন ভিসা পেতে সাধারণত সম্পদ কিংবা ব্যবসায় বিপুল বিনিয়োগের প্রয়োজন হতো।