ত্রাণবাহী জাহাজ থেকে আটক হওয়া সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ ফ্রান্সগামী একটি ফ্লাইটে ইসরায়েল ছেড়েছেন। মঙ্গলবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, থুনবার্গ সকালে ফ্রান্সের উদ্দেশে একটি ফ্লাইটে তেল আবিব ত্যাগ করেছেন। তিনি ইসরায়েল ছাড়তে রাজি হওয়ার পরই এ পদক্ষেপ নেয় কর্তৃপক্ষ। এদিকে ফ্রান্স জানিয়েছে, থুনবার্গের সঙ্গে আটক ছয় ফরাসি নাগরিকের মধ্যে পাঁচজন তাদের ফেরত পাঠানোর আদেশে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এখন তাদের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে। ইসরায়েলের সামুদ্রিক অবরোধ অমান্য করে এবং সেখানে মানবিক সংকট তুলে ধরে গাজায় প্রতীকী পরিমাণ সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করার সময় আটক করা হয় থুনবার্গসহ কয়েকজনকে।
বিবিসির সোমবারের প্রতিবেদন জানায়, খাবার নিয়ে গাজায় যেতে রওনা হয় আন্তর্জাতিক অলাভজনক সংস্থা ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) পরিচালিত ত্রাণবাহী জাহাজ ‘ম্যাডলিন’।
একপর্যায়ে সেটি আটকে দেয় ইসরায়েল। ইতালি থেকে জাহাজটিতে করে ত্রাণ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকেই জাহাজটিকে ইসরায়েলের আশদাদ বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। এই জাহাজ ও এতে থাকা মানবাধিকার কর্মীদের অপহরণ করা হয়। ‘ম্যাডলিন’ জাহাজে মোট ১২ জন মানবাধিকার কর্মী ছিলেন তারা হলেন সুইডেনের পরিবেশবিষয়ক আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ, ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত ফরাসি নাগরিক ও ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য রিমা হাসান, জার্মানির ইয়াসেমিন আচার, ফ্রান্সের ব্যাপতিস্ত আন্দ্রে, ব্রাজিলের থিয়াগো আভিলা, ফ্রান্সের ওমর ফায়াদ, পাস্কাল মৌরিয়েরাস, ইয়ানিস মোহামদি, তুরস্কের সুলাইব ওর্দু, স্পেনের সার্জিও তোরিবিও, নেদারল্যান্ডসের মার্কো ফন রেনেস ও ফ্রান্সের রিভা ভিয়া। সুপরিচিত পরিবেশকর্মী ২২ বছর বয়সি গ্রেটা থুনবার্গ দীর্ঘদিন ধরে উড়োজাহাজে ভ্রমণ এড়িয়ে চলেছেন। ২০১৯ সালে নিউইয়র্কে একটি জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নেওয়ার জন্য সমুদ্রপথে যাত্রা করার মধ্য দিয়ে বিশ্বজুড়ে আলোচনার জন্ম দেন তিনি।