জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদের মেয়ে পটুয়াখালীর দুমকীর আলোচিত লামিয়া আক্তারকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় তিন কিশোরের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা। বুধবার দুমকী থানার ওসি তদন্ত ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম পটুয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দেন। বাদীর মা রুমা বেগমের বরাত দিয়ে দুমকী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন জানান, অভিযোগপত্রে বাদীর মায়ের একটাই চাওয়া আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। মামলায় উল্লেখ করা হয়, জুলাই আন্দোলনে শহীদ জসিম হাওলাদারের কবর জিয়ারত শেষে নানাবাড়ি পাঙ্গাসিয়া ইউনিয়নের নলদোয়ানী গ্রামে যাওয়ার পথে গত ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় দুমকীর রাজগঞ্জ গ্রামের কলেজছাত্রী লামিয়া আক্তার দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়। এ ঘটনায় দুজনকে আসামি করে দুমকী থানায় মামলা হয়েছে। পরে এজাহারভুক্ত শাকিব মুন্সি ও সিফাত মুন্সি নামের দুই কিশোরকে আইনের আওতায় এনে যশোর শিশু সংশোধনাগারে পাঠায় পুলিশ। মামলার তদন্ত চলাকালে গত ২৬ এপ্রিল রাজধানীর শেখেরটেকের ভাড়া বাসা থেকে ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। দুমকী থানার (ওসি) মো. জাকির হোসেন আরও বলেন, মামলার তদন্তকালে এ ঘটনায় ইমরান মুন্সির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। দুজনের বিরুদ্ধে মামলা হলেও তিনজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। উল্লেখ্য, গত বছরের ১৯ জুলাই ছাত্র অভ্যুত্থানে ঢাকার মোহাম্মদপুরে পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে ১০ দিন পর ঢাকা মেডিকেলে মারা যান জসিম হাওলাদার।