সাবেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব আহমদ কায়কাউস এবং বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিরুদ্ধে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব জানান দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন। তিনি বলেন, আদানি গ্রুপের কর ফাঁকির অভিযোগ অনুসন্ধানে যাদের সম্পৃক্ততা আছে, সবার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ চুক্তির জন্য সাবেক মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস (চুক্তির সময় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব ছিলেন) ও তার নেতৃত্বাধীন কর্তৃপক্ষ এবং বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নথিপত্র তলব করেছে অনুসন্ধান কর্মকর্তা।
আহমদ কায়কাউস দেশে নাকি দেশের বাইরে সংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক মহাপরিচালক বলেন, এ বিষয়ে আমাদের অনুসন্ধান দল কাজ করছে। দুদক জানায়, চুক্তির আদ্যোপান্ত জানতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কাছে চার ধরনের তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে দুদক। ওই চিঠিতে বলা হয়- ড. আহমদ কায়কাউসের অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে রেকর্ডপত্র প্রয়োজন। আর যেসব নথি চাওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে- আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয়ের চুক্তির শুরু হতে শেষ অবধি যাবতীয় রেকর্ডপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয়ের ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম অনুসরণ করা হয়েছে কি না- এ সংক্রান্ত রেকর্ড, বিদ্যুৎ ক্রয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নাম, পদবি, বর্তমান ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর ও বর্ণিত বিষয়ে কোনো বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে কি না, হয়ে থাকলে তদন্ত প্রতিবেদনসহ বিস্তারিত তথ্য।
জানা যায়, এর আগে অনুসন্ধানে নেমে আদানির বিদ্যুৎ আমদানিতে প্রায় ৪০ কোটি ডলারের শুল্ক ফাঁকির প্রমাণ পায় এনবিআর। ২০২৩ সালের ৯ মার্চ ঝাড়খণ্ডের গড্ডায় স্থাপিত আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু করে বাংলাদেশ। তখন থেকেই আমদানি করা এ বিদ্যুতের শুল্কসহ অন্যান্য কর পরিশোধ করা হয়নি।