ইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘাতের মধ্যে ‘সম্ভাব্য যুদ্ধ পরিস্থিতি’র জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে তুরস্ক। সম্ভাব্য যুদ্ধ প্রস্তুতিকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে রাখাই এর লক্ষ্য বলে গতকাল দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান-ইসরায়েল সংঘাত চলায় ইরানের সঙ্গে নিজেদের সীমান্তে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছে তুরস্ক। তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সূত্র রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছে। তিনি বলেছেন, ইরান থেকে তুরস্কে এখন পর্যন্ত কোনো অনিয়মিত অভিবাসনের ঢল দেখা যায়নি। -রয়টার্স
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই সূত্র বলেন, দেশে তৈরি রাডার ও অস্ত্র ব্যবস্থা ব্যবহার করে বহুস্তরবিশিষ্ট সমন্বিত আকাশ এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়নের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে তুরস্ক। সম্ভাব্য যুদ্ধ প্রস্তুতিকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে রাখাই এর লক্ষ্য।
তিনি বলেছেন, ইসরায়েল তার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় প্রতিবেশী ইরানে হামলা চালানোর পরপরই তুরস্কের কুইক রিঅ্যাকশন অ্যালার্ট বাহিনীর যুদ্ধবিমান আকাশে উড়েছিল। ইসরায়েলি বিমানের আন্তর্জাতিক আকাশসীমা লঙ্ঘনের আশঙ্কায় এসব বিমান এখনো সীমান্তে টহল দিচ্ছে। এর আগে, বুধবার দখলদার ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ ও গুণ্ডামির বিরুদ্ধে ইরানের আত্মরক্ষার অধিকার আছে বলে মন্তব্য করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ নিয়ে তিনি বলেন, নিজেদের আত্মরক্ষায় ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ ও গুণ্ডামির বিরুদ্ধে এটি ইরানের খুবই স্বাভাবিক, বৈধ এবং আইনি অধিকার। এর আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে নিয়ে এরদোগান বলেন, নেতানিয়াহু এ অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। তার্কিশ প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ফিলিস্তিনের গাজায় ‘যুদ্ধাপরাধী’ নেতানিয়াহু যে গণহত্যা চালিয়েছেন, এর মাধ্যমে তিনি জার্মান নাৎসি নেতা অ্যাডলফ হিটলারকে ছাড়িয়ে গেছেন।