ইরান-ইসরায়েলের চলমান সংঘাত সপ্তম দিনে গড়িয়েছে। যদিও দু’দিন আগে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ইরানের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল, বাস্তবে পরিস্থিতি সে দিকে না গড়িয়ে আরও জটিল আকার ধারণ করেছে।
মঙ্গলবার রাতে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির এক হুঁশিয়ারিমূলক বার্তা সংঘাতে নতুন মাত্রা যোগ করে। ওই বার্তায় তিনি ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্দেশ করে বলেন, যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে।
এরপর রাতেই ইরান আবারও এক দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে। জেরুজালেম ও তেল আবিবে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়, সঙ্গে ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় ও উত্তরাঞ্চলে বিমান সতর্কতা জারি করা হয়। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র সাতটি স্থানে আঘাত হেনেছে, এতে অন্তত ৬৫ জন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের বেয়ার শেভায় সোরোকা হাসপাতালে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি তেল আবিব, রামাত গ্যান এবং হোলোন শহরেও ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতের খবর মিলেছে।
ইসরায়েল বলছে, যতদিন প্রয়োজন ততদিন তারা অভিযান চালিয়ে যাবে এবং নিজেদের লক্ষ্য পূরণ করবে। তবে যুদ্ধ বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরিমাণ এখন আগের তুলনায় অনেক কমে এসেছে।
ইসরায়েল দাবি করছে, তারা ইরানের পশ্চিম সীমান্তবর্তী প্রদেশসমূহ— ইলাম, কুর্দিস্তান, পূর্ব ও পশ্চিম আজারবাইজান এবং কেরমানশাহ— এ অবস্থিত অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্র ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে। এতে ইরানের হামলার সক্ষমতা অন্তত ৪০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে বলে দাবি ইসরায়েলের।
তবে ইরান পাল্টা দাবি করে জানিয়েছে, তাদের কাছে এমন উন্নত প্রযুক্তির অস্ত্র রয়েছে, যা এখনও ব্যবহার করা হয়নি। বুধবার ইরান জানায়, তারা নতুন প্রজন্মের উচ্চগতি সম্পন্ন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে, যা আগের তুলনায় অনেক দ্রুত ইসরায়েলে পৌঁছাতে সক্ষম। এই ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র বিশ্বের হাতে গোনা কয়েকটি উন্নত রাষ্ট্রেরই রয়েছে বলেও জানায় তেহরান।
তথ্যসূত্র : বিবিসি ও ইরনা নিউজ।
বিডি-প্রতিদিন/শআ