বর্তমান সরকার অনেকগুলো সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। কিন্তু প্রতিরক্ষা বা সশস্ত্র বাহিনী সংস্কার কমিশন গঠন করেনি। অথচ এটা অত্যন্ত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা উচিত ছিল। তাই সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী করতে জাতীয় প্রতিরক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করতে হবে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে নেক্সাস ডিফেন্স অ্যান্ড জাস্টিস (এনডিজে) আয়োজিত বাংলাদেশ ২.০ জাতীয় বাজেট ২০২৫-২৬ ‘সশস্ত্র বাহিনী সংস্কারে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক এম শাহীদুজ্জামান। সভাপতিত্ব করেন- নেক্সাস ডিফেন্স অ্যান্ড জাস্টিস (এনডিজে) প্রেসিডেন্ট ব্রি. জে. মোহাম্মদ হাসান নাসির (অব.)। বক্তব্য দেন- সাবেক রাষ্ট্রদূত মারুফ জামান, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর মুহাম্মদ আবদুর রব, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও জবান এর সম্পাদক রেজাউল করিম রনি, আপ বাংলাদেশ এর রাফে সালমান রিফাত, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, দৈনিক নয়া দিগন্তের নির্বাহী সম্পাদক মাসুম খলিলী, আমাদের দেশ এর নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ। আরও বক্তব্য দেন ব্রি. জে. জিয়া (অব.), সাবেক কমান্ডার ইলিয়াস কাঞ্চন, মেজর এ কে এম শাকিল নেওয়াজ (অব.), লে. কর্নেল ফেরদৌস আজিজ (অব.), লে. কর্নেল হাসিন বীরপ্রতীক (বরখাস্ত), কর্নেল মোহাম্মদ শাহনূর রহমান (অব.) ও কর্নেল জাকারিয়া হোসাইন (অব.) প্রমুখ। বক্তারা বলেন, ফেনী সীমান্তে ব্রিজ নির্মাণের অনুমতি, এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনে ফেনী ব্রিজের অদূরে ভারতকে ৯০০ একর জমি প্রদান, রেলওয়ে করিডর দেওয়াসহ ভারতের স্বার্থে দিনাজপুরের হিলি থেকে শেরপুর সীমান্ত আত্মঘাতী করিডর নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে। যা এই দেশের জন্য অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়াবে। অধ্যাপক এম শাহীদুজ্জামান বলেন, আমাদের অনেক সংস্কার কমিশন হয়েছে। কিন্তু দেশের স্বার্থে যেটা সবার আগে হওয়ার কথা ছিল সেটাই হয়নি। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। ব্রি. জে. মোহাম্মদ হাসান নাসির (অব.) বলেন, দেশের স্বার্থে সেনা আইন সংস্কার করতে হবে। অর্থনেতিক ও নিরাপত্তার স্বার্থে ফেনী ব্রিজ নির্মাণ বন্ধ করতে হবে। অস্ত্র ও গোলাবারুদ স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে। তিন বাহিনীর জন্য আলাদা নীতিমালা করতে হবে। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে শিক্ষার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক সেনা ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।