দুর্নীতি, হত্যা মামলা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনে অভিযুক্ত বিভিন্ন দেশে পলাতক আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী-এমপি ও নেতাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকার উদ্যোগ নেবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের যারা যারাই অভিযুক্ত, যাদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ, খুনের মামলা আছে, তাদের ব্যাপারে আমরা সিরিয়াস এবং প্রত্যেকের আমরা প্রত্যাবাসন চাইব। তাদের বাংলাদেশের আইনের মুখোমুখি হতে হবে। তাদের আইনের আওতায় আনা আমাদের এবং পরবর্তী সরকারেরও নৈতিক দায়িত্ব।’
গতকাল দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টার কাতার সফর ও শ্রমবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ জমার বিষয়ে অবহিত করতে এ ব্রিফিং করা হয়। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ, সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি। ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক জানতে চান- শেখ হাসিনার পাশাপাশি বিদেশে আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাদের প্রত্যাবাসন চাইবে কি না সরকার? জবাবে প্রেস সচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগের লিডার যারা বাইরে গেছেন, তাদের বেশির ভাগের হাতে রক্ত আছে। তারা বড় ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত। তাদের অনেকে বড় বড় দুর্নীতিতে জড়িত।’ তিনি বলেন, ‘আমার-আপনার অ্যাকাউন্টে ১ কোটি টাকার লেনদেনও দেখা যায় না। অথচ একেকজনের (আওয়ামী লীগ নেতা) ৮শ, ৯শ, ১২শ কোটি টাকার লেনদেন। একজন সরকারি কর্মচারী, একজন সরকারের মন্ত্রী বা সরকারের যিনি সচিব- কতটা টাকা পান’- এমন প্রশ্নও রাখেন প্রেস সচিব। পলাতক নেতাদের দুর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে প্রেস সচিব বলেন, ‘তারা বাংলাদেশের মানুষের টাকা চুরি করে বাইরে গিয়ে মোজ-ফুর্তি করছেন। তাদের ফেরানো অবশ্যই আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। এই কাজটা আমরা করব।’ নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন ও ওই কমিশনের রিপোর্ট বাতিলে ইসলামী দলগুলোর আলটিমেটাম সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে প্রেস সচিব বলেন, ‘এই সংস্কার কমিশনের রিপোর্টসহ সব সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট ঐকমত্য কমিশনে যাবে। সেখানে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হবে। আলোচনার মাধ্যমে তারাই ঠিক করবে কতটুকু নেবে, কতটুকু নেবে না।’