ইরানের আকাশসীমা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ স্যোশালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, “আমরা এখন ইরানের আকাশসীমা পূর্ণাঙ্গ ও সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি।”
তবে ওই পোস্টে ‘আমরা’ বলতে প্রকৃতপক্ষে কাকে বোঝানো হয়েছে- তা স্পষ্ট করেননি ট্রাম্প।
তিনি লিখেছেন, “ইরানের ভালো মানের স্কাই ট্র্যাকার ও অন্যান্য প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জাম ছিল এবং তা ছিল প্রচুর পরিমাণে। কিন্তু আমেরিকার তৈরি, পরিকল্পিত ও প্রস্তুতকৃত সরঞ্জামের সঙ্গে সেগুলোর তুলনাই চলে না। যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে এটা কেউই ভালোভাবে করতে পারে না।”
দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা ও সরঞ্জাম সরবরাহ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে ইরানের ওপর ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে আসছে, এসব হামলায় তাদের কোনও সম্পৃক্ততা নেই।
এদিকে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ডের মধ্যে প্রকাশ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। ট্রাম্প স্পষ্ট বলেছেন, “তিনি বিশ্বাস করেন, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।” তবে তার এই বক্তব্য গ্যাবার্ডের বক্তব্যের সম্পূর্ণ বিপরীত।
মঙ্গলবার এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, “তিনি (গ্যাবার্ড) কী বলেছেন আমি তার ধার ধারি না। আমার মনে হয় তারা (ইরান) একেবারে কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল।”
অথচ গত ২৫ মার্চ মার্কিন সিনেটের গোয়েন্দা কমিটিতে দেওয়া বক্তব্যে তুলসী গ্যাবার্ড বলেন, আমাদের গোয়েন্দারা এখনও মনে করে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে না এবং দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি ২০০৩ সালে স্থগিত করা কর্মসূচির অনুমোদন এখনও দেননি।
তবে গ্যাবার্ড সতর্ক করেছিলেন, ইরান বর্তমানে অস্ত্র-উপযোগী ইউরেনিয়ামের সর্বোচ্চ মজুদধারী অ-পারমাণবিক রাষ্ট্র, যা উদ্বেগজনক। কিন্তু এতে সরাসরি অস্ত্রায়নের আলামত নেই বলে জানান তিনি। সূত্র: আল-জাজিরা, বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/একেএ