রাশিয়াকে ‘অবিলম্বে ও নিঃশর্তভাবে’ ইউক্রেনে হামলা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে বুধবার রাতে রাশিয়ার হামলার পর এ আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।
গতকাল ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, রাশিয়াকে অবিলম্বে তার হামলা বন্ধ করতে হবে। অবিলম্বে ও নিঃশর্তভাবে হামলা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে এক্স-এ এক পোস্টে জেলেনস্কি বলেছেন, ‘ইউক্রেন পূর্ণ যুদ্ধবিরতি ও হামলা বন্ধে সম্মত হওয়ার ৪৪ দিন অতিক্রান্ত হয়েছে এবং রাশিয়া ৪৪ দিন ধরে আমাদের জনগণকে হত্যা করে চলেছে।’ - এএফপি
এদিকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রাতভর ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া, এতে অন্তত আটজন নিহত ও ৭০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন বলে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। চলতি বছর কিয়েভে রাশিয়ার চালানো এটি সবচেয়ে বড় হামলা বলে জানিয়েছে রয়টার্স। এই হামলায় নগরীটির বেশ কয়েকটি ভবন ধ্বংস হয়। টেলিগ্রাম অ্যাপে ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, বুধবার দিবাগত রাতে চালানো এ হামলায় রাশিয়া ১৪৫টি ড্রোন, ১১টি ব্যালিস্টিকসহ ৭০টি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে আর তারা এগুলোর মধ্যে ১১২টি ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে ছয়জন শিশু আছে। কিছু মানুষ এখনো ভবনগুলোর ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়ে আছেন। হামলার পর কোথাও কোথাও আগুন ধরে যায়। টেলিগ্রামে দেশটির জরুরি পরিষেবা লিখেছে, ‘ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়া লোকজনের সন্ধানে তল্লাশি অব্যাহত আছে।’ ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্দ্রি সিবিহা সামাজিক মাধ্যম এক্স এ হামলাটিকে ‘নৃশংস আঘাত’ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘এই হামলা দেখিয়েছে, ইউক্রেন নয়, রাশিয়াই শান্তির পথে বাধা।’ এই হামলার বিষয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিচকো জানিয়েছেন, রাজধানীতে আটজন নিহত হয়েছেন বলে এ পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর আগে দেশটির কর্মকর্তারা নয়জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন। ইউক্রেনে যুদ্ধের এক ক্রান্তিকালে কিয়েভে এ হামলা চালালো রাশিয়া। ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে শান্তির প্রচেষ্টার উদ্যোগ নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু ট্রাম্পের জোরালো কূটনৈতিক উদ্যোগ সত্ত্বেও এক্ষেত্রে অগ্রগতি তেমন হয়নি। ক্ষুব্ধ ট্রাম্প জানিয়েছেন, শান্তি চুক্তি করার ক্ষেত্রে অগ্রগতি না হলে এই প্রচেষ্টা থেকে সরে দাঁড়াবে যুক্তরাষ্ট্র। তার এ হুমকিতে চাপে পড়েছে মস্কো ও কিয়েভ।