মাদক চোরাচালান রোধে ভেনেজুয়েলার যথেষ্ট পদক্ষেপ না নেওয়ার অভিযোগ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। সে পরিপ্রেক্ষিতে ক্যারিবিয়ান সাগরে ভেনেজুয়েলার উপকূলে আটটি জাহাজ, একটি পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন ও দশ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে ওয়াশিংটন। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর মাদক ও সন্ত্রাস-সম্পর্কিত কার্যক্রম ভেঙে দেওয়াই তাদের লক্ষ্য।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র আনা কেলি এক বিবৃতিতে বলেছেন, দেশে মাদকের 'বন্যা' বন্ধ করতে মার্কিন শক্তির প্রতিটি উপাদান ব্যবহার করতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে, ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রপতি নিকোলাস মাদুরো বারবার বলছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুতর আক্রমণের হুমকির মুখোমুখি পড়েছে তার দেশ। এ অবস্থায় রাশিয়ার সরকার বলছে, মস্কো তার অংশীদারদের অনুরোধের যথাযথ প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুত রয়েছে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রেস কর্মকর্তা মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক পরিস্থিতির গতিশীলতা বিবেচনায় ভেনেজুয়েলার জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষায় মাদুরোর নেতৃত্বকে সমর্থন করি।
ক্রেমলিন জানিয়েছে, ভেনিজুয়েলার প্রতি যেকোনো হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে সহযোগিতায় প্রস্তুত রাশিয়া। দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়া ও কিউবা মাদুরো সরকারের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার সঙ্গে কূটনৈতিক সমাধানের সব প্রচেষ্টা বন্ধ করে দিয়েছেন। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ভেনেজুয়েলায় মাদক কার্টেল স্থাপনাগুলোতে হামলা শুরু হতে পারে।
সূত্র: দ্য ল্যাটিন টাইমস, তাস
বিডি-প্রতিদিন/এমই