টানা কয়েক দিন হামলা-পাল্টা হামলার পর দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ ভারত ও পাকিস্তান নাটকীয়ভাবে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। তবে যুদ্ধবিরতি হলেও সিন্ধু পানিচুক্তিসহ কূটনৈতিক পদক্ষেপগুলো নিয়ে ভারতের অবস্থানে কোনো পরিবর্তন হয়নি বলে জানা গেছে। এতে পেহেলগাম হামলার জেরে দুই দেশের মধ্যে যে কূটনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছিল, তার সমাধান সহজে হবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। খবর রয়টার্সের।
মূলত ১৯৬০ সালে বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় সিন্ধু নদী ও এর শাখানদীগুলোর (সিন্ধু, চন্দ্রভাগা, শতদ্রু, ঝিলাম, ইরাবতী ও বিপাশা) পানিবণ্টন নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু চুক্তি হয়। এই চুক্তির সুবিধাভোগী ছিল পাকিস্তানের প্রায় কয়েক কোটি মানুষ। কিন্তু পেহেলগাম হামলার জেরে ঐতিহাসিক ওই চুক্তি স্থগিত করে ভারত। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এর ফলে পাকিস্তানে পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে, যা দেশটির কোটি কোটি মানুষের জীবনে সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে।
চুক্তি স্থগিতের ফলে ইতোমধ্যে চেনাব নদীর পাকিস্তান অংশ শুকিয়ে গেছে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৪ মে চেনাবের পানিপ্রবাহ ছিল ৩৫ হাজার কিউসেক। কিন্তু ৫ মে সকালে তা কমে মাত্র ৩ হাজার ১০০ কিউসেক হয়েছে। পাঞ্জাব সেচ বিভাগের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, রবিবার ভারতীয় কর্তৃপক্ষ একতরফাভাবে চেনাব নদী থেকে পানি প্রত্যাহার শুরু করে। এ সিদ্ধান্ত নেয়ার পর তারা ভাটির দিকে (পাকিস্তান অংশ) প্রায় পুরো চেনাব নদীর প্রবাহ বন্ধ করে দিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘বর্তমানে ভারত আমাদের পানি ব্যবহার করছে। তারা তাদের বাঁধ ও জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো ভরাট করছে, যা চেনাব অববাহিকায় অবস্থিত।’ তিনি বলেন, ‘সিন্ধু পানিচুক্তির এটি একটি গুরুতর লঙ্ঘন। এমন কাজ করতে পারে না ভারত।’
বিডি-প্রতিদিন/শআ