চিকিৎসা সহায়তা সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ) জানিয়েছে, ইসরায়েলি সামরিক অভিযান ও মানবিক সহায়তা আটকে দেওয়ার কারণে গাজা এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে এবং তা ফিলিস্তিনি জনগণ ও তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসা মানুষদের জন্য এক বিশাল গণকবরে পরিণত হয়েছে।
বুধবার এক বিবৃতিতে এমএসএফ-এর সমন্বয়কারী আমান্দে বাজেরোলে বলেন, “আমরা গাজা অঞ্চলে সমগ্র জনসংখ্যার ধ্বংস ও জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির দৃশ্য দেখছি। এই সংকটময় সময়ে কোনো স্থানই আর নিরাপদ নেই — না ফিলিস্তিনিদের জন্য, না তাদের সাহায্য করতে চাওয়া মানুষের জন্য।”
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজায় সামরিক অভিযান চালিয়ে আসছে। দুই মাস ধরে চলা যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর, চলতি বছরের মার্চ মাসে আবারও ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল।
২ মার্চ থেকে মানবিক সহায়তা কার্যত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গাজায় চরম সংকট তৈরি হয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, সেখানে বর্তমানে জ্বালানি, পানি, চিকিৎসা সরঞ্জামসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের তীব্র ঘাটতি রয়েছে, আর বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
এমএসএফ জানিয়েছে, শুধু গত মাসেই ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ১৫ জন চিকিৎসক ও উদ্ধারকর্মী নিহত হন, যারা একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক নিন্দার ঝড় ওঠে।
বাজেরোলে বলেন, “মানবিক সহায়তা পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে। নিরাপত্তাহীনতা ও সরবরাহ সংকটের কারণে আমরা কাজ চালিয়ে যেতে হিমশিম খাচ্ছি।”
বিডি প্রতিদিন/নাজিম