বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়ও উঁচু ভবন তৈরি হচ্ছে। উদ্ভাবন এবং উৎকর্ষতার অঙ্গীকার নিয়ে ট্রপিক্যাল হোমস লিমিটেড বাণিজ্যিক এবং আবাসিক প্রকল্পে ধারাবাহিকভাবে নতুন মাইলফলক স্থাপন করে আসছে তিন দশক ধরে। তাদের উচ্চাভিলাষী উদ্যোগগুলোর মধ্যে নতুন সংযোজন হচ্ছে টিএ টাওয়ার। এটি একটি অত্যাধুনিক বাণিজ্যিক ভবন, যা এখন পর্যন্ত ঢাকার সবচেয়ে উঁচু আকাশচুম্বী ভবন হিসেবেও দাঁড়িয়েছে এবং এটি বাণিজ্যিক অবকাঠামোর ক্ষেত্রে এক নতুন মাইলফলক স্থাপন করতে চলেছে বাংলাদেশে। রাজধানী ঢাকার মালিবাগে, ৪৬৮ ডিআইডি রোডে, ৬টি বেজমেন্টসহ দেশের সর্বপ্রথম ৪৫ তলা বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করছে ট্রপিক্যাল হোমস। টিএ টাওয়ার নামের এই সুউচ্চ ভবনের তলার সংখ্যা বেশি হলেও উচ্চতায় ৫০০ ফুট।
৪৬ কাঠা জমির ওপর নির্মাণাধীন ভবনটিতে ১৬টি লিফট, ৬ জোড়া এস্কেলেটর, আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল, বিলাসবহুল বুটিক হোটেল, আধুনিক সুপার মার্কেট, কনফারেন্স হল, রেস্তোরাঁ, মসজিদ, সুইমিংপুল, স্টিম রুম, সাউনা এবং জ্যাকুজি, পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক পৃথক জিম, সুসজ্জিত বাচ্চাদের খেলার জায়গা, থ্রিডি মুভি থিয়েটার, ছাদে টেলিস্কোপসহ সিটি ভিউ কর্নার ও হেলিপ্যাড, এসব অত্যাধুনিক সুবিধা থাকবে। এ প্রকল্পে ১৩০৬ বর্গফুট ২৮১৩ বর্গফুট অফিস স্পেস, প্রতি ফ্লোরে টোটাল ১৭,৯৮২ বর্গফুট স্পেস এবং প্রতিটি অফিসের স্পেসের সঙ্গে থাকবে এক্সিকিউটিভ ওয়াশরুম।
ট্রপিক্যাল হোমসের নান্দনিক এই প্রকল্পের স্ট্রাকচারাল কনসালট্যান্ট হচ্ছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. সৈয়দ ফখরুল আমিন পিএইচডি। ইলেকট্রিক্যাল এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করতে পরামর্শ দিয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার মুস্তাফিজুর রহমান। এই প্রকল্পে বি. এন. বি. সি কোড অনুযায়ী আধুনিক অগ্নিনির্বাপণ ও শনাক্তকরণ ব্যবস্থা থাকবে। এ ছাড়া থাকবে ইউএল সার্টিফাইড অগ্নিপ্রতিরোধী দরজাসহ চাপযুক্ত ফায়ার সিঁড়ি এবং ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং ও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
ট্রপিক্যাল হোমসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ রবিউল হক বলেন, ‘উঁচু ভবনের নির্মাণকাজ ও বিপণন দুটিই কঠিন। তবে উঁচু ভবন নির্মাণ করার মতো দক্ষ প্রকৌশলী আমাদের দেশে রয়েছে। আমরা দেশীয় প্রতিষ্ঠান দিয়ে ভবনের নকশা করিয়ে সিঙ্গাপুরের একটি ফার্মকে দিয়ে যাচাইবাছাই করিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে জমির স্বল্পতা আছে। ফলে জমি যাতে নষ্ট না হয়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। ঢাকার আশপাশের জমি দখল বন্ধ করতে ১০০ তলা বা তার বেশি উচ্চতার ভবন নির্মাণ করতে হবে। তবে সরকার অনুমতি দিচ্ছে না। অথচ এমন সুউচ্চ ভবন করার সক্ষমতা দেশের কয়েকটি কোম্পানির আছে।