কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার কচু ও কচুর লতি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ প্রায় ২৫টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। কৃষকদের ভাগ্য বদলে দিয়েছে পুষ্টিকর এ সবজি। অন্য ফসলের তুলনায় কম শ্রম ও বেশি লাভ হওয়ায় এই সবজি চাষে বিনিয়োগ করছেন স্থানীয় কৃষকরা। কৃষি বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, এ উপজেলা থেকে বছরে ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকার কচু ও লতি রপ্তানি হয়।
বরুড়া উপজেলার আগানগর, ভবানীপুর ও খোশবাস দক্ষিণ এই তিন ইউনিয়নের প্রায় সব গ্রামের পাশাপাশি বাকি ১২টি ইউনিয়নেও বিচ্ছিন্নভাবে কচু ও লতি চাষ হচ্ছে। আগানগর গ্রামের কৃষক হারুন মিয়া বলেন, ‘কচু চাষে খরচ কম, কিন্তু লাভ বেশি হয়। তাই এই অঞ্চলের সবাই ধানসহ নানা সবজি বাদ দিয়ে কচু চাষ করছে। এ কচু চাষই আমাদের এ অঞ্চলের জীবিকার প্রধান মাধ্যম।’
তিনি বলেন, ‘জন্মের পর থেকে প্রায় ৪০ বছর ধরে এ কচু চাষের সঙ্গে জড়িত আছি। সপ্তাহে দুই দিন জমি থেকে কচু উঠানো হয়। প্রতি কেজি লতির দাম ৪০-৬০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। ৪৫ শতাংশ জমিতে কচু চাষ করতে ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়। এ বছর এখন পর্যন্ত ৮০ হাজার টাকার বেশি লতি বিক্রি করা হয়েছে।’ এ জন্য আমরা ধান বা অন্যান্য সবজি চাষ বাদ দিয়ে জমিতে শুধু কচুর লতি চাষ করি। লতি চাষ করে আমরা নিজেরা স্বাবলম্বী হচ্ছি।