ঋণ পুনঃতফসিলে বিশেষ ঋণনীতি প্রণয়ন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আলোকে গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পূর্ববর্তী সময়ে ব্যবসায়িক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘমেয়াদি সুবিধা পাবে। গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলো সর্বোচ্চ ১০ বছর মেয়াদে শ্রেণীকৃত ঋণ পুনঃতফসিল করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দুই বছরের গ্রেস পিরিয়ড রাখা যাবে। এ নীতিমালার মূল লক্ষ্য বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বস্তি দেওয়া, যারা নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত কারণে ব্যবসায়িক সমস্যা যেমন অর্থনৈতিক মন্দা, মুদ্রার অস্থিরতা ও জ্বালানি-বিদ্যুৎসংকট ইত্যাদির সম্মুখীন হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, শ্রেণীকৃত ঝুঁকিপূর্ণ ঋণ সর্বোচ্চ ১০ বছর মেয়াদে পুনঃতফসিল করা যাবে, যার মধ্যে দুই বছর গ্রেস পিরিয়ড থাকবে। পুনঃতফসিলের আবেদন গ্রহণ করা হবে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ৩০০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ পুনঃতফসিলের ক্ষমতা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের থাকবে। ৩০০ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে অনিষ্পন্ন ঋণ মামলার নিষ্পত্তি বাংলাদেশ ব্যাংক-পৃষ্ঠপোষক নীতিসহায়তা যাচাই কমিটি দেখভাল করবে। প্রথম দুবার পুনঃতফসিলের জন্য ডাউন পেমেন্ট ন্যূনতম ২ শতাংশ দিতে হবে। তবে যেসব ঋণ ইতোমধ্যে তিন বা ততোধিকবার পুনঃতফসিল হয়েছে, সে ক্ষেত্রে ডাউন পেমেন্ট ৩ শতাংশ হবে। সংশ্লিষ্ট খাতের সর্বনিম্ন ঋণসুদের হার থেকে ১ শতাংশ কম সুদে পুনঃতফসিল করা যাবে। কিস্তি মাসিক বা ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে পরিশোধ করতে হবে। স্থগিত সুদ আয় হিসেবে ধরা যাবে না, তা আদায় না হওয়া পর্যন্ত। কোনো কিস্তি বাকি পড়লে ঋণ পুনরায় শ্রেণীকৃত হবে।