‘গাছ লাগাই, ভবিষ্যৎ বাঁচাই’, প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বসুন্ধরা শুভসংঘ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা পালন করেছে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ‘সবুজের অভিযান-২০২৫ : সবুজে গড়ি আগামী’। পরিবেশ রক্ষা, জলবায়ু সচেতনতা এবং সবুজ-শান্তিপূর্ণ পৃথিবী গড়ার প্রত্যয়ে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, শুভসংঘের সদস্যরা ও পরিবেশপ্রেমী তরুণরা।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে শুভসংঘের সদস্যরা একত্রিত হন। সেখানে সংক্ষিপ্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ফলজ, বনজ, ঔষধি ও সৌন্দর্যবর্ধক গাছ রোপণ করা হয়।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা শুভসংঘ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উপদেষ্টা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, শুভসংঘের এমন মহৎ উদ্যোগ সত্যিই সময়োপযোগী ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরনের কর্মসূচি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সামাজিক দায়বদ্ধতা, পরিবেশ-সচেতনতা এবং মানবিক মূল্যবোধ গড়ে তোলে। শুধু বইয়ের পড়ার মধ্যেই শিক্ষার সীমাবদ্ধতা নেই, প্রকৃত শিক্ষা তখনই পূর্ণতা পায়, যখন আমরা সমাজের জন্য, পরিবেশের জন্য কিছু করতে পারি। শুভসংঘ সে পথেই কাজ করছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে শুভসংঘের এ কার্যক্রমের সঙ্গে ছিলাম, আছি এবং আগামীতেও তাদের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। আমি আশা করি, এ ধরনের ইতিবাচক উদ্যোগ আরও ছড়িয়ে পড়বে এবং অন্যান্য শিক্ষার্থী ও সংগঠনগুলোর মধ্যেও অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করবে।
কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী শুভসংঘের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কার্যকরী সদস্য রাফিয়া ইসলাম বলেন, এই ধরনের উদ্যোগে অংশ নিতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত। গাছ লাগানো শুধু একটি কর্মসূচি নয়, এটি আমাদের ভবিষ্যতের প্রতি দায়িত্ব। আমরা চাই, এই সবুজ অভিযাত্রা যেন আরও বিস্তৃত হোক এবং সবাই এই কাজে যুক্ত হোক।
কর্মসূচিতে শুভসংঘ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি মিশন চাকমা বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন, উষ্ণতা বৃদ্ধি এবং দিন দিন কমে যাওয়া সবুজ ভূমি আমাদের ভবিষ্যতের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, একটি গাছ লাগানো মানে একটি প্রাণ রক্ষা করা। এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা পরিবেশ রক্ষায় তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চাই।’
সার্বিক বিষয়ে শুভসংঘের সাধারণ সম্পাদক আলফাজ উদ্দিন বলেন, ‘শুধু গাছ লাগানোই যথেষ্ট নয়-এর পরিচর্যা, যত্ন এবং সচেতনতা তৈরির কাজটি আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব। আমরা বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে কাজ শুরু করি, কিন্তু এখানেই থেমে যাই না। গাছের সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার পরিবেশ নিশ্চিত করতেও আমরা সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি, এই কাজ আজকের জন্য নয়, এটি আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সবুজ ভবিষ্যৎ গড়ার অঙ্গীকার।’
বিডি প্রতিদিন/এমআই