বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য অস্পষ্ট। দেশের স্বার্থেই চলতি বছরের মধ্যে নির্বাচন চায় বিএনপি। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ন্যূনতম সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচন দেওয়া উচিত। কারণ গণতান্ত্রিক সরকার না থাকায় জনগণ বিভিন্নভাবে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই নির্বাচন তাদেরও চাওয়া। তিনি বলেন, মঙ্গলবার নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে হতাশ হয়েছি, প্রধান উপদেষ্টা যে বক্তব্য রেখেছেন সেখানে তিনি নির্বাচনের স্পষ্ট রোডম্যাপের কথা বলেননি। আরও হতাশ হয়েছি, তাঁর বক্তব্যের মধ্যে তিনি স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম একবারও উচ্চারণ করেননি। অথচ এটাই ছিল ইতিহাস। স্বাধীনতা অর্জনে জিয়াউর রহমানের অবদান জাতি চিরদিন স্মরণ করবে। বিএনপির মহাসচিব বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর হলেও একটি গণতান্ত্রিক এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ এখনো গড়ে ওঠেনি। তাই আগামীতে দেশ গড়তে তিনি সবার ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা কামনা করেন।
তিনি বলেন, আমরা বারবার বলে আসছি, স্পষ্ট রোডম্যাপ এবং দ্রুত নির্বাচন। তা না হলে যে সংকটগুলো তৈরি হচ্ছে সেগুলো কাটবে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচনের কথা বলছে না। জাতির স্বার্থে ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে রক্ষার স্বার্থেই নির্বাচনের কথা বলছে এবং নির্বাচিত পার্লামেন্ট ও সরকারের কথা বলছে। তিনি বলেন, আমরা আশা করব, অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত ন্যূনতম সংস্কার করে অর্থাৎ যেগুলো নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন তা সম্পন্ন করে নির্বাচনের ঘোষণা দেবে। মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ যে ইতিহাস বিকৃত করেছে, এখন আবার সেই ইতিহাস বিকৃত হোক, আমরা চাই না। প্রকৃত সত্যকে উদঘাটিত করে জনগণের যে আকাক্সক্ষা একটি গণতান্ত্রিক সরকার, সেই সরকারে যত দ্রুত ফিরে যাওয়া যাবে আমাদের সমস্যাগুলো ততই সমাধান হবে। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক প্রমুখ।