বিগত সরকারের আমলে চাকরিচ্যুত সদস্যরা চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে পুলিশ সদর দপ্তরের সামনের সড়ক অবরোধ রেখে বিক্ষোভ করেছেন। গতকাল দুপুরে অবস্থান কর্মসূচি শেষে সড়ক অবরোধ করেন তারা। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় চাকরিচ্যুত এসব সদস্যের অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে চাকরি হারিয়েছেন তারা। এদিকে আন্দোলনরত সাবেক পুলিশ সদস্যরা সড়কে নামলে সদর দপ্তরের গেটে শতাধিক পোশাকধারী পুলিশ সদস্য অবস্থান নেন। এ সময় ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সড়ক বন্ধ থাকায় বঙ্গবাজার মোড় পর্যন্ত যানজট আরও তীব্র হয়।
অন্তর্র্বর্তী সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন দাবি করে বিক্ষুব্ধ এসব সাবেক পুলিশ সদস্যরা বলছেন, বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছি। আমরা কোনো বৈষম্যের শিকার হতে চাই না। চাকরি ফিরে পেতে আর কালক্ষেপণ নয়। নির্বাহী আদেশে চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে। জাহিদ হাসান নামে চাকরিচ্যুত এক কনস্টেবল বলেন, আমরা ৬ মাস ধরে চাকরি ফিরে পাওয়ার জন্য দাবি জানিয়ে আসছি। আমাদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য পুলিশ সদর দপ্তরকে আদেশও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ৬ মাসেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।
পুলিশ সদর দপ্তরের সামনে ফুটপাতে দাঁড়িয়ে নানা স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা। আন্দোলনরতরা বলেন, আমরা কোনো বৈষম্যের শিকার হতে চাই না। চাকরি ফিরে পেতে আর কালক্ষেপণ চাই না। ভুক্তভোগী পুলিশ পরিবারের সমন্বয়ক চাকরিচ্যুত এসআই রহমত উল্লাহ নাওসাদ বলেন, আমরা ৬ মাস ধরে আমাদের দাবি জানিয়ে আসছি। পুনর্বহালের কথা বলেও এখনো কোনো দৃশ্যমান সিদ্ধান্ত আসেনি। আদালত থেকে রায় পাওয়ার পরও আমাদের চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা অবস্থান কর্মসূচিতে নেমেছি। রাস্তা অবরোধ করেছি।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, আন্দোলনকারী চাকরিচ্যুতদের মধ্যে অনেকে আদালতে গিয়েছেন। আদালত যাদের পক্ষে রায় দিয়েছেন তারা চাকরি ফেরত পাবেন। কিন্তু যারা আদালতেই যাননি তাদের চাকরি ফেরত কেমনে সম্ভব? যারা আন্দোলন করছেন তাদের বেশির ভাগেরই চাকরি গেছে মাদক গ্রহণের ফলে, যা ডোপ টেস্টে ধরা পড়ে।
ডিএমপির রমনা বিভাগের ডিসি মো. মাসুদ আলম বলেন, চাকরি ফিরে পেতে চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা পুলিশ সদর দপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। গতকাল বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।